পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এবারের ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। সেখানে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। চারিদিকে ছড়িয়ে দেহাংশ। বিস্ফোরণে উড়েছে বাড়ির দেওয়াল। আহতদের বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এলাকায় বেআইনি বাজি কারাখানতেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকী পুলিশ ও রাজ্যের মন্ত্রীও সব জানতেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের ওপর চড়াও হতে বলেও উঠছে অভিযোগ। ফলে সব মিলিয়ে এই বিস্ফোরণের জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যপাক উত্তেজনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেআইনি ওই বাজি কারখানায় শব্দবাজি তৈরি হত। মজুদ ছিল প্রচুর পরিমানে বাজির মশলা। ওখানে বোমা তৈরি হত বলেও অভিযোগ কারও কারও। এদিন ভয়াবহ বিস্ফোরণ কার্যত কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতায় পুরোপুরি উড়ে গিয়েছে ওই কারখানাটি। এমনকী আশেপাশের বেশকয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভিতরে ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটানাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। শুরু হয়েছে আগুন নেভানোর চেষ্টা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, দত্তপুকুর থানার পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা টাকা নিয়ে ওই সমস্ত বেআইনি বাজি কারখানাগুলি চালানোর ক্ষেত্রে মদত দিত। এমনকী রাজ্যের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এলাকাবাসীদের আরও অভিযোগ, শুধু মাত্র ওই বাড়িতেই নয়, এলাকার আরও একাধিক বাড়িতে চলছে বেআইনি বাজি কারখানা। আর সেই সমস্ত কারখানাগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলেও একটি বেআইনি বাজি কারখানায় ঘটে যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই বিস্ফরণেও মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। এমনকী বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগেরও মৃত্যু হয়। প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।