জঞ্জালের স্তূপে বিস্ফোরণ বেহালার সরশুনাতে। ঘটনায় একজন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফ থেকে। এদিকে এই ঘটনায় বাসুদেবপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ জঞ্জালের স্তূপ থেকে কাজ কুড়োনোর জোরাল শব্দ শোনা যায়। যে যুবক কাগজ কুড়োচ্ছিলন বিস্ফোরণে তিনি আহত হন। এরপরই ওই যুবককে বেহালার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়রা এও জানান, এটা খুব শান্তিপূর্ণ এলাকা, এখানে বোমা রাখার কোনও সম্ভাবনা নেই। স্থানীয় কাউন্সিলরও ঘটনাস্থলে আসেন। বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে বিস্ফোরণস্থলের আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে রক্ত। শান্ত এলাকায় হঠাৎ করে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছডা়য় স্বাভাবিক ভাবেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। এদিকে পুলিশের প্রথামিক ধারনা, বোমার কারণে এই বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। যে বোতলটিতে মূলত বিস্ফোরণ হয়েছে, তা ভেঙে টুকরো হয়ে গিয়েছে।
তবে এদিনের এই ঘটনা কপালে ভাঁজ ফেলেছে পুলিশ প্রশাসনের। কারণ, আগামী বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছে। এদিেক আবার একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনকে বোমা উদ্ধারের নির্দেশ দিতেও দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এবার একেবারে খাস কলকাতা সংলগ্ন অঞ্চলে এই ধরনের বিস্ফোরণ নিঃসন্দেহে পুলিশ প্রশাসনের চিন্তা বাড়াবে এমনটাই ধারনা অনেকেরই। শুধু তাই নয়, একদিকে যেমন বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে অন্যদিকে খাস কলকাতা থেকেও উদ্ধার হচ্ছে অস্ত্রও।