কালো শিবলিঙ্গ হঠাৎই রং বদলে হয়ে গেল সাদা। আর এই শিবলিঙ্গের মধ্যেই অদ্ভুতভাবে ফনা তোলা সাপের আকৃতি তৈরি হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মালদা শহরের মালঞ্চপল্লি এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঢাক – ঢোল, কাঁসর, ঘন্টা এবং ফুলের মালা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে শুরু হয়েছে ওই মন্দিরে এসে শিবলিঙ্গে পুজো দেওয়ার হিড়িক। পাথরের রং রাতারাতি এভাবে যে বদলে যেতে পারে তা নিয়েও রীতিমতো বিচলিত হয়ে পড়েছে মালদার বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরাও। যদিও এখানে কোনও বুজরুকি নেই। বিজ্ঞানগত কারণের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজ্ঞান মঞ্চের কর্তারা। কিন্তু তাদের এই দাবি মানতে নারাজ মালঞ্চপল্লি এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চপল্লি এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী মণ্ডল। সংশ্লিষ্ট এলাকার রেলগেটের কাছে ঘেরা দেওয়া একটি মাঠের কাছে স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী মণ্ডলের নিজস্ব মন্দিরে মনসাদেবীর পুজোর সঙ্গে শিবলিঙ্গেরও পুজো করে থাকেন। একটি বড় শিবলিঙ্গের পাশাপাশি একটি পাথরের বাটিতে ৩ আঙুলের আকৃতির কালো পাথরের শিবলিঙ্গ ছিল। এখন সেটা অদ্ভুতভাব কালো মূর্তি থেকে সাদা শিব লিঙ্গে পরিণত হয়েছে। তার মধ্যে ফনা তোলা সাপের আকৃতি ধারণ করায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
লক্ষীদেবী সহ স্থানীয় এলাকার বেশ কয়েকজন মানুষের বক্তব্য, এটা দৈবিক ঘটনা ছাড়া আর কিছুই না। এই মন্দিরের শিবলিঙ্গটি কালো ছিল। অদ্ভুতভাবে সেটা ধবধবে সাদা হয়ে গিয়েছে। কিভাবে হল, কেন হল তার কোনও উত্তর কেউ দিতে পারেনি। আমরা মনে করছি এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ। তাই এখন মানুষের মধ্যে পুজো আসছে এবং শ্রদ্ধাও বেড়েছে।