বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে জলে ফেলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা গোঘাটে

হুগলি: বিজেপির দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির গোঘাটে। এদিন বিজেপির অধিকাংশ পতাকা জলে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকার বিজেপি কর্মীরা তা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের রঘুবাটিতে। বৃহস্পতিবার ছিল বিজেপি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। রঘুবাটি এলাকায় বিজেপি কর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে। ওইদিন সকালে পতাকা উত্তোলন করা হয়। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পতাকা খুলে জলে ফেলে দেয়। এদিন সকালে জানাজানি হতেই রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি বিজেপি নেতারা বিষয়টি গোঘাট থানার পুলিশকে জানায়। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, পতাকা ছিঁড়ে বিজেপিকে মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া যাবে না। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে। এই বিষয়ে গোঘাটের বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় জানান, ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। সেই উপলক্ষে বুথে বুথে পতাকা উত্তোলন হয়েছিল আমাদের। রাতের অন্ধকারে কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দলীয় পতাকা, ফ্লেক্স ছিঁড়ে জলে ফেলে দিয়েছে। আমরা চাইছি সামনে পঞ্চায়েত ভোট আসছে যাতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারে, সেই জন্য প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। এই বিষয়ে রঘুবাটি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের কালচার সৃষ্টি করা, ধ্বংস করা নয়। এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নব্য এবং আদি যে কোন্দল হয়তো নব্যরা পতাকা তুলেছে আর আদিরা পতাকা ফেলে দিচ্ছে। আমরা এইসব কালচারে বিশ্বাসী নই, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে চলি। আমরা মানুষের উন্নয়নের জন্য বাড়ি বাড়ি যাই। কোনও দলের পতাকা ছিঁড়ে দিয়ে ফেলে দেওয়া, এটা আমাদের কাজ না। ওটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আমরা চাই সমস্ত দল এবং বিরোধী দল থাক। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়ে ওঠে। সবমিলিয়ে বিজেপির পতাকা ছেঁড়া এবং জলে ফেলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক টানাপোড়েন গোঘাটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − sixteen =