ব্যারাকপুর : গত ৬ এপ্রিল বালুরঘাটে তপন বিধানসভা কেন্দ্রের কয়েকজন মহিলা তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। ৭ এপ্রিল চার জন আদিবাসী মহিলা ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। অভিযোগ, দলবদলের শাস্তি স্বরূপ তৃণমূল কংগ্রেস ওই চার জন মহিলাকে বালুরঘাট শহরের রাস্তায় দণ্ডি কাটায়। আর এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
এই অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার বিকেলে বীজপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এদিন বিজেপির ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার তরফে কাঁচড়াপাড়া সিটি লাইফের সামনে থেকে প্রতিবাদী মিছিল বেরিয়ে থানার সামনে শেষ হয়। সেখানে কিছুক্ষন বিক্ষোভ চলার পর থানার অধিকারিকের কাছে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দেন। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পাদক পল্লবকান্তি দাস, জেলার অফিস সম্পাদক প্রণব মণ্ডল, জেলার এসটি মোর্চার সভাপতি বরুণ সর্দার, জেলার যুব মোর্চার সভাপতি বিমলেশ তেওয়ারি, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পিয়ালী দুবে-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্রের দাবি, বালুরঘাটে আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে তৃণমূল। এবার অত্যাচারী সরকারের পতন নিশ্চিত। ফাল্গুনীর সংযোজন, বারবার আদিবাসী সমাজকে অপমান করছে শাসকদল। রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কদর্য ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। এমনকী রাষ্ট্রপতি হবার ক্ষেত্রে oৌপদী মুর্মু বাংলা থেকে সমর্থনও পাননি। অন্য দিকে, ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি সন্দীপ ব¨্যােপাধ্যায় বলেন, বালুরঘাটে দণ্ডি কাটানোর ঘটনার প্রতিবাদে তাদের এই থানা ঘেরাও কর্মসূচি। সন্দীপের দাবি, বাংলায় আইন শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। তাছাড়া গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে অরাজকতা চলছে। তবে আগামীদিনে বাংলায় বিজেপির হাত ধরে সুশাসন ফিরবে।