বিহারে নীতীশ কুমারের জোট বদলের পরেই তিনি দাবি করেছিলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এবং বিহার বিধানসভা ভোটে জেডিইউ-এর বিপর্যয় হবে। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) এ বার পূর্বাভাস দিলেন, বিরোধীরা যতই স্ট্র্যাটেজি তৈরি করুক না কেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হাসতে হাসতে জিতবে এনডিএ। সেই সঙ্গে নীতীশ কুমারের জেডিইউর ভবিষ্যৎ নিয়েও মুখ খুললেন তিনি। বিহারে পরবর্তী বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা ২০২৫ সালে। পিকের দাবি, সেই নির্বাচনে নীতীশের দল জেডিইউ সে রাজ্যের ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০টির বেশি জিততে পারবে না। তিনি বলেন, ‘যে জোটের হয়েই লড়ুন না কেন, নীতীশের দল যদি ২০টির বেশি আসনে জেতে, আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব।’
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, লোকসভায় এনডিএ জোটের ‘ক্লিন সুইপের’ সাক্ষী থাকবে দেশ। অর্থাৎ, ২০১৯ লোকসভায় রেকর্ড অঙ্কে জয়ের পর এবারও বড়সড় জয়ের মুখ দেখতে চলেছে গেরুয়া শিবির। একদিকে, ইন্ডিয়া জোট ঘিরে জট বেড়েই চলেছে। সেখানে প্রশান্ত কিশোরের এহেন ভবিষ্যদ্বাণী বিরোধীদের আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের ভোটকুশলীর ভূমিকায় ছিলেন প্রশান্ত। সে সময় বিজেপি বঙ্গে গেরুয়া ঝড় তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে। একুশেই যে তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত হবে, তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছিল পদ্মশিবিরের নেতা-মন্ত্রীদের গলায়। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বলে গিয়েছিলেন, বঙ্গে একশো আসনও পাবে না। ফলে সরকার বদলানোর কোনও প্রশ্নই নেই। ভোটগণনার পর সেই তত্ত্বেই সিলমোহর পড়েছিল। প্রশান্ত কিশোর এবার বলে দিলেন, কেন্দ্রে তৃতীয়বারের জন্য আসতে চলেছে মোদি সরকারই।
প্রশান্তের কথায়, ‘বিহারে শুধু নীতীশ না, বিজেপিও পালটু রাম। এটা বিজেপির উপরও খারাপ প্রভাব ফেলবে। এর চেয়ে ওরা নিজেদের মতো করে লড়াই করলে জয়ের সম্ভাবনা আরও ইতিবাচক হত।’