নিজস্ব প্রতিবেদন, অণ্ডাল: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে কী বিজেপি, কী তৃণমূল প্রার্থী সকলেই গিরগিটির মতো রং বদলান। আমরা রং বদলাই না, আমি সিপিএম দলে ছিলাম, আছি আর ভবিষ্যতেও থাকব, শনিবার সকালে অণ্ডালের উখড়া গ্রামে ভোট প্রচারে বেরিয়ে এমনটাই দাবি করলেন সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খান।
উল্লেখ্য, প্রচণ্ড দাবদাহে তপ্ত খনি অঞ্চল। সকাল থেকে রোদ্রের প্রচণ্ড তেজ। শুক্রবারের মতোই আবহাওয়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবারও তাপমাত্রা দুপুর বেলা পৌঁছতে পারে ৪৫ ডিগ্রিতে। প্রচণ্ড গরমকে উপেক্ষা করেই শনিবার সকালে অণ্ডালের উখড়া গ্রামে ভোট প্রচারে বের হন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খান। উখড়া রুইদাস পাড়া সিপিএম পার্টি অফিস থেকে প্রচার শুরু করেন প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, তুফান মণ্ডল, অঞ্জন বক্সি, অনুপ সিনহা সহ কর্মী সমর্থকেরা। জোট সঙ্গী কংগ্রেসের লোকজনকেও এদিন দেখা গেল প্রচারে। প্রার্থী পায়ে হেঁটে গোটা গ্রাম ঘোরেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিচয় করেন ভোটারদের সঙ্গে।
প্রচারের মাঝে প্রার্থী জাহানারা খান বলেন, ‘মানুষের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। মানুষ আমাদের দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে, আশীর্বাদ করছে।’ এরপর তিনি অভিযোগ করেন, গত ১০ বছরে আসানসোল লোকসভা এলাকায় উন্নয়নের সে ভাবে কোনও কাজ হয়নি। রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা, যেখানে যাচ্ছি সেখানকার মহিলারাই অভিযোগ করছেন এলাকায় পানীয় জল নেই। এখানকার প্রাক্তন ও বর্তমান সাংসদের ভোটের পর আর দেখা পাওয়া যায় না। মানুষ উন্নয়ন চায়। আর সেটা দিতে পারে একমাত্র বামেরা বলে দাবি করেন প্রার্থী।
তিনি বলেন, ‘মানুষের আশীর্বাদ পেলে আমরা এলাকার বন্ধ কলকারখানা খোলা, বেকারদের কর্মসংস্থান, কয়লা খনি বেসরকারিকরণ ও খনির ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের ব্যাপারটি নিয়ে সংসদে লড়াই করব।’ তৃণমূল, বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী প্রসঙ্গে জাহানারা খান বলেন, ‘আগে এখানে যিনি বিজেপির সাংসদ ছিলেন তিনি এখন তৃণমূল দলে। এবারের তৃণমূল প্রার্থী আগে বিজেপি দল করতেন। বিজেপি হয়ে যিনি দাঁড়িয়েছেন তিনি আগে ছিলেন কংগ্রেস দলে। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে কী বিজেপি, কী তৃণমূল প্রার্থী সকলেই গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমরা রং বদলাই না, আমি সিপিএম দলে ছিলাম, আছি আর ভবিষ্যতেও থাকব। হেভিওয়েট বলে কিছু হয় না, লড়াইটা আদর্শ আর নীতির। আমরা সেই লক্ষ্যে লড়ছি। আসানসোলের মানুষ ঠিক করবে তাঁরা হেভিওয়েট সাংসদ চান, নাকি তাদের কাছের কাজের মানুষ চান।’