‘ছাপ্পাশ্রীর জয়, মানুষের পরাজয়’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ সাংসদ অর্জুন সিংয়ের

BJP MP ARJUN SINGH

নিজস্ব প্রতিবেদন, ব্যারাকপুর: পুর নির্বাচনে রাজ্যজুড়েই তৃণমূলের জয়জয়কার।ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনস্থ কাঁচড়াপাড়া থেকে টিটাগড়-এই আটটি পুরসভাতেও ধরাশায়ী গেরুয়া শিবির। গাড়ুলিয়া বাদে বাকি সাতটি পুরসভা বিরোধী শূন্য। ২১ ওয়ার্ড বিশিষ্ট গারুলিয়া পুরসভায় একটি ওয়ার্ড ফরওয়ার্ড ব্লক ও একটি ওয়ার্ড নির্দল পেয়েছে। বাকি ওয়ার্ডগুলো ঘাসফুলের দখলে।

এই ফলাফলের কারণ কী? তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এই হারের জন্য তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুললেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘মানুষের হার হয়েছে। ছাপ্পাশ্রীর জয় হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলায় গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে।’ সাংসদের অভিযোগ, স্ট্রং রুমে কারসাজি করা হয়েছে। ৯০ শতাংশ ইভিএম মেশিন সিল ভাঙা ছিল। বিরোধী দলের এজেন্টদের গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ব্যারাকপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজ গণনাকেন্দ্র নৈহাটি ও জগদ্দলের বিধায়ক যথাক্রমে পার্থ ভৌমিক ও সোমনাথ শ্যাম হাজির থেকে গণনা কেন্দ্র দখল করে নিয়েছিল।সাংসদের দাবি, সিপিএম একটা সময় বিরোধী শূন্য করে বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছে। তৃণমূলও বিদায় নেবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই জয় প্রসঙ্গে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর বিশ্বাস রেখে ভোট দিয়েছেন। বিপুলভাবে মানুষ সমর্থন করায়, মানুষের কাজ আরও বেশি করে করতে হবে। প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের খড়দা, পানিহাটি, কামারহাটি, বরানগর ও নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা তৃণমূলের দখলে এসেছে। ২২ ওয়ার্ড বিশিষ্ট খড়দায় মাত্র একটি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী জিতেছেন। বাকি ২১টি ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। ৩৫ ওয়ার্ড বিশিষ্ট পানিহাটি পুরসভায় একটি মাত্র ওয়ার্ড সিপিএমের দখলে এসেছে। বাকি সমস্ত ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। কামারহাটিতে মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৫। তার মধ্যে ৩১টি ওয়ার্ড তৃণমূল নিজেদের দখলে রেখেছে। তিনটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী এবং একটি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে সিপিআইএম। ৩৪ ওয়ার্ড বিশিষ্ট বরানগর পুরসভায় একটি ওয়ার্ড বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। একটি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে সিপিআইএম এবং বাকি ওয়ার্ডগুলোতে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এই বিপুল জয়কে তৃণমূল মানুষের জয় বলে দাবি করেছে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যের বহু পুরসভা এভাবেবিরোধী শূন্য হওয়াটা ভবিষ্যতের জন্য  সুখকর নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − seventeen =