নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: খোদ বিধায়কের গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল৷ বারবার প্রশাসনের সর্বস্তরে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে দাবি্। অভিযোগ, গ্রামে বিজেপি বিধায়ক থাকায় ওই রাস্তা মেরামতির ন্যূনতম উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ৷ শেষ পর্যন্ত বিধায়ক স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঝুড়ি কোদাল হাতে নেমে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন। বাঁকুড়ার কেলাই গ্রামের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল শুরু হয়েছে। তৃণমূলের কটাক্ষ, সবই বিধায়কের নাটক৷
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের কেলাই গ্রামে বাড়ি স্থানীয় শালতোড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির। গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের রাঙ্গামেট্যা থেকে বিধায়কের গ্রাম কেলাই ছুঁয়ে রাজামেলা রাস্তার অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল৷ বিষয়টি বারবার প্রশাসনের নজরে এনেও লাভ হয়নি বলে দাবি। স্থানীয় বিধায়ক চন্দনা বাউরি নিজের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দ টাকায় রাস্তাটি মেরামতির উদ্যোগ নিলেও, শুধুমাত্র বিরোধী দলের বিধায়ক হওয়ায় তাঁর গ্রামের রাস্তা মেরামত করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
দিনের পর দিন এই বেহাল রাস্তার কারণে শুধু বিধায়ক নয়, এলাকার মানুষও চরম কষ্টে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছিলেন। বর্ষায় সেই রাস্তার অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়ে৷ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া সেই রাস্তার হাল ফেরাতে মাঠে নামলেন খোদ বিধায়ক চন্দনা বাউরি। আক্ষরিক অর্থেই কোমর বেঁধে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঝুড়ি, কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজে লাগলেন বিধায়ক। সঙ্গ দিলেন স্থানীয় বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা কর্মীও।
বিধায়কের দাবি, বারবার বলার পরেও শাসকদলের চাপে প্রশাসন ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় তিনি নিজের বেতনের টাকা থেকে পাথর গুঁড়ো ও মাটি আনিয়ে রাস্তার হাল ফেরানোর চেষ্টা করেছেন। বিধায়কের এই উদ্যোগ স্থানীয় মানুষের প্রশংসা কুড়ালেও একে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল পরিচালিত গঙ্গাজলঘাঁটি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নিমাই মাজির দাবি, পথশ্রী প্রকল্পে ওই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তারপরও বিধায়ক এই নাটক করেছেন।