নওশাদের গ্রেপ্তারির ঘটনায় পথে বিজেপির সংখ্যালঘু সেল

আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকের গ্রেপ্তারির ঘটনায় এবার প্রতিবাদ বিজেপির তরফ থেকেও। একদিকে যখন ভাঙড়ের বিধায়কের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে আইএসএফের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে বামেরা, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি হাতে মুরলীধর সেন লেনের বিজেপির কার্যালয় থেকে বুধবার পথে নামতে দেখা গেল বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের সমর্থকদেরও। তাঁদের দাবি, আইএসএফের সঙ্গে আদর্শগত মিল না থাকলেও নওশাদ একজন বিরোধী দলের বিধায়ক।তাই তাঁর মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। একইসঙ্গে স্যাফ্রন ব্রিগেডের এই সংখ্যালঘু সেলের দাবি, পুলিশ অন্যায়ভাবে অত্যাচার করেছে। বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আইএসএফের সঙ্গে আদর্শগত মিল নেই, কিন্তু পুলিশ নওশাদ ভাই-কে যেভাবে অত্যাচার করেছে, অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। সংখ্যালঘু ভাইদের ওপর যেভাবে অত্যাচার হয়েছে, তা দেখে বিজেপির সংখ্যালঘু সেল ঘরে বসে থাকবে না। আমরা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে নামছি।’ এর পাশাপাশি সংখ্যালঘু সেলের আরও দাবি, রাজ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বগটুই-এর ঘটনার কথাও টেনে আনেন তাঁরা। এদিকে রাজনৈতিক মহল এই প্রতিবাদের ঘটনায় মনে করছেন, আদর্শগত ভাবে বিজেপি আইএসএফ-এর বিরোধী হলেও বুধবারের বিজেপির এই মিছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

গত শনিবার ভাঙড়ে তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফের সংঘর্ষের পর নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। ওই ঘটনার পর নওশাদের সমর্থনে মুখ খুলেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারাও। এমনকী বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখেও শোনা যায়, প্রচ্ছন্ন ভাবে নওশাদকে সমর্থনেরই সুর। দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আমি ওই এলাকাতেই থাকি। নওশাদ আমার বিধায়ক। আমার বাড়ির সামনেই ঘটেছে। আইএসএফ গণতান্ত্রিক দল। তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে কেউ আটকাতে পারে না।’

তবে এই সব ঘটনায় বঙ্গ রাজনৈতিক মহলের ধারনা, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তার পরই সংখ্যালঘুদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। কারণ, সংখ্যালঘু ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে বলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে বঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীও বার্তা দিয়েছেন, বিজেপি সংখ্যালঘুদের বিপক্ষে নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 7 =