শনিবার গ্রেপ্তার হলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শনিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দপ্তর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দিল্লির যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন নয়ডা থেকে স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে নিয়ে আগ্রা যাচ্ছিলেন জিতেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক কম্বল বিলির অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনা ঘটে। এই কম্বল বিলির অনুষ্ঠানে তিনজন মারা যান। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নয়ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপির এই নেতাকে বলে সূত্রে খবর। তবে এই ঘটনায় আগেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সে সময় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুরক্ষাকবচও নেন। তবে সেই সুরক্ষাকবচ ২১ দিনের জন্য ছিল। এরপর আগাম জামিনের আবেদন করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর দিল্লিতে যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
তবে এদিনের জিতেন্দ্রর এই গ্রেপ্তারির ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, ‘যাঁর পরিবার বস্ত্রদান অনুষ্ঠানে জামা কাপড় নিতে এসেছিল, সে সুপ্রিম কোর্ট অবধি যাচ্ছে আইনজীবী নিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করতে। হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যিনি আইনজীবী হন, তার কী ফিজ হয় সকলেই জানেন। যে ব্যক্তি এই টাকা দিতে পারছেন, তিনি পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে লাইন দেন কখনও? এটা পুরোপুরি তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত।’ এরই পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার এও জানান, কিছুদিন আগে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল। তাও রাতে যান তাঁরা। তবে সিসিটিভি ফুটেজও আছে। যাওয়া, সার্চ করা বা এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে যাতে তিনি বিজেপি ছেড়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলে ফিরে যান। এরই রেশ ধরে বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, মানসিক চাপ তৈরি করার জন্য এসব করা হচ্ছে।
এদিকে এও জানা যাচ্ছে, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও চৈতালি তিওয়ারি কম্বল বিতরণের মামলায় আগাম জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আগামী সপ্তাহে শুনানিরও কথা ছিল। সূত্রের খবর, জিতেন্দ্র-চৈতালি একসঙ্গে থাকলেও চৈতালিকে বাদ দিয়েই জিতেন্দ্রকে ধরা হয়।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ‘ গ্রেপ্তার না আটক সে তথ্য আমাদের কাছে নেই৷ তবে যে ঘটনা তারা শুরু করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কম্বল নিয়ে তাতে গ্রেপ্তার হওয়া উচিত। নিজেরা নিজেদের মতো করে বিশৃঙ্খলা করলেন। উদ্ধার কাজে সাহায্য করেননি। আগেই গ্রেপ্তার হওয়া উচিত ছিল। কারণ, সেদিন যে ঘটনা ঘটে তা গ্রেপ্তার হওয়ার মতোই অপরাধ ছিল।’