কর্নাটকে (Karnataka) এক তরুণ বিজেপি (BJP) নেতাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রবীণ নেত্তারু নামের ওই নেতার মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বম্মাই শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হবে। ইতিমধ্যেই দোষীদের গ্রেপ্তারির দাবিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীর মৃত্যু ঘিরে উত্তাল কর্নাটকের দক্ষিণ প্রান্ত। বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে স্লোগান তুলেছে বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা সহকর্মীর মৃত্যুতে সুবিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে,’আমরা সুবিচার চাই’। কর্নাটকের বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা সম্মিলিতভাবে ইস্তফা দেওয়া শুরু করেছেন।
৩২ বছরের প্রবীণ নেত্তারু ছিলেন পোল্ট্রির দোকানের মালিক। সঙ্গে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সক্রিয় সদস্য বলেই পরিচিত। মঙ্গলবার রাতে নিজের পোল্ট্রির দোকান বন্ধ করে ফিরছিলেন প্রবীণ। সেই সময় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তাঁর উপর আক্রমণ করে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তারা। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন নেত্তারু। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ রক্তাক্ত প্রবীণকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘আমাদের দলের দক্ষিণ কর্নাটকের কর্মী প্রবীণ নেত্তারুর এই নৃশংস খুন লজ্জাজনক। এই জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে। এই বেদনা সহ্য করার শক্তি ভগবান ওঁর পরিবারকে দিক। ওম শান্তি।’
এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বেশ কিছু এলাকায় বনধ পালন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার মতো দক্ষিণপন্থী দলগুলিকে এই খুনের জন্য দায়ী করেছে তারা। এদিকে নিহত বিজেপি কর্মীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর বাড়িতে। তাঁর শবযাত্রায় বিজেপি কর্মী ও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের অংশ নিতে দেখা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই পাঁচটি স্পেশ্যাল পুলিশ টিম গঠন করা হয়েছে অভিযুক্তদের ধরতে। তাদের মধ্যে তিনটি দলকে কেরল এবং কর্নাটকের মাদিকেরি ও হাসানে পাঠানো হয়েছে।