বুথ ফেরৎ সমীক্ষায় গুজরাত এবং হিমাচলে জয় পেতে চলেছে বিজেপিই

সোমবার বিকেল ৫টায় শেষ হল গুজরাত বিধানসভার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। এদিন ভোট পড়ে প্রায় ৫৯ শতাংশ। এর আগে, গত ১ ডিসেম্বর গুজরাতের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। ওই দিন ভোট পড়েছিল ৬৩ শতাংশ। তার আগে ১২ নভেম্বর ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল হিমাচল প্রদেশে। ৮ ডিসেম্বর দুই রাজ্যেরই ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে। গুজরাতে প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। হিমাচল প্রদেশেও বর্তমানে ক্ষমতায় আছে গেরুয়া শিবিরই। হিমাচলের রীতি অনুযায়ী, প্রত্যেক ভোটেই ক্ষমতাসীন দল পরাজিত হয়। অন্যদিকে, গুজরাতেও এবার প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিজেপিকে। তবে বেশির ভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুসারে গুজরাতে ফিরতে চলেছে বিজেপিই। শুধু তাই নয়, গত নির্বাচনের থেকে ভাল ফল করতে চলেছে তারা। অর্থাৎ সপ্তমবারও বিজেপি সরকার।

এদিকে আম আদমি পার্টি কংগ্রেসের ভোট কাটলেও তেমন কোনও সুবিধা করতে পারবেন না। জন কি বাতের বুথফেরত সমীক্ষা জানাচ্ছে, বিজেপি পেতে পারে ১২৯টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৪৩টি আসন। আম আদমি পার্টি পেতে পারে ১০টি আসন। এদিকে পি মার্কিউ-এর বুথফেরত সমীক্ষা জানাচ্ছে, বিজেপি  পেতে পারে ১৩৮টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৩৬টি আসন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপের ঝুলিতে যেতে পারে ৬টি আসন। টিভি ৯-এর বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ১২৮টি আসন। কংগ্রেস এবং আপ পেতে পারে যথাক্রমে ৪৫ এবং ৪টি করে আসন।

গুজরাতের পাশাপাশি হিমাচলপ্রদেশেও এবার গেরুয়া ঝড় আসতে পারে। হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষা জানাচ্ছে, এখানেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে পদ্ম শিবির। ৬৮টি বিধানসভা আসনে জয় পেতে গেলে প্রয়োজন ৩৫টি আসন। যার মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ৩৮টি। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ২৮টি আশন। তবে এখানে বেশ কিছু আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে হাত আর পদ্ম শিবির।

তবে এই বুথ ফেরৎ সমীক্ষা সম্পূর্ণই অনুমান নির্ভর। আগামী ৮ ডিসেম্বর দুই রাজ্যের বিধানসভার ফলাফল ঘোষণা। ওইদিনই জানা যাবে কে কোন রাজ্যের দখল নিতে চলেছে।goo

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 3 =