হুগলি: আবারও এক তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূল নেত্রী কলকাতা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে তোপ দেগে টুইট করার পাশাপাশি প্রতিক্রিয়া দেন। আরামবাগের সাংসদ তথা তৃণমূল নেত্রী অপরূপা পোদ্দার হাইকোর্টের বিরুদ্ধে টুইট করেন। তিনি বিজেপি হাইকোর্টকে রাজনীতির ক্লাব বানিয়েছে, আর সেই ক্লাবের মেম্বার এক বিচারপতি। তৃণমূলের সাংসদের হাইকোর্ট ও বিচারকদের একাংশের প্রতি এমনই অভিযোগ। আরামবাগ সাংসদ অপরূপা পোদ্দার টুইট করে লেখেন, ‘আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে ১০০ শতাংশ সমর্থন করি। হাইকোর্টকে বিজেপি রাজনীতি করার ক্লাব বানিয়ে নিয়েছে। আর এই ক্লাব মেম্বারের মধ্যে কোনও একজন বিচারপতি আছেন। যিনি হাইকোর্টের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে কিছু বিচারপতির রায় রাজনীতি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। মনে রাখবেন মানুষের রায়ের ওপর কারো রায় হয় না। কারণ, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ব্যক্তিগত রাগ করেছেন। কারণ, ও দলে আসতে চাইছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দরজা খোলেনি এটা বিজেপি ভালো করেই জানে।’ এই কথাগুলি তিনি টুইট করে লেখেন। তারপরেই রাজনৈতিক মহলে হইচই পড়ে যায়। টুইট করার পাশাপাশি সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথাগুলি বলেছেন সেগুলো ঠিক বলেছেন আমি তাকে সমর্থন করি। কারণ উনি যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো গভীরভাবে ভাবতে হবে। বিজেপি হাইকোর্টকে যেভাবে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে এটা ঠিক না। এতে বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে আর বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের ভরসা উঠে যাচ্ছে। সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের এই টুইট প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ বলেন, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ভাট বকছে। ভুলভাল বলছেন। কলকাতা হাইকোর্টে প্রায় ৫৫ জন বিচারপতি হয়ে গিয়েছে। সবাই কি বিজেপি হয়ে গেছে নাকি। আমি বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই বলে কি, হাইকোর্টের বিরুদ্ধে বলে দিতে পারি। পাশাপাশি সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সৌমিত্র খাঁ প্রসঙ্গে বলেন, সৌমিত্র খাঁ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছেন বলে ভুলভাল বকছেন। উনি তৃণমূল কংগ্রেসে আসার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওনার জন্য দরজা খোলেননি। তাই টিভির পর্দা আসার জন্য এসব বলছেন। আসলে উনি বিজেপি সাংসদ কিন্তু মানুষের জন্য কোনও কাজ করতে পারেননি। বিষ্ণুপুর ওনার সাংসদ এলাকা সেখানে ওদের রেলমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করে দেওয়া তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ এখনো শেষ করতে পারলেন না। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, এর উত্তর আগামী দিন মানুষ দেবে। ওনার কোনও অস্তিত্ব নেই বলে এই ধরনের টুইট করছেন। সবমিলিয়ে এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।