ডেপুটি মেয়র পদেও আপকে চ্যালেঞ্জ বিজেপির। মঙ্গলবার বিজেপির তরফ থেকে ডেপুটি মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে রামনগরের কাউন্সিলর কমল বাগরির ওপরই আস্থা রেখেছে দল। একইসঙ্গে দ্বারকার কাউন্সিলর কমলজিৎ সেহরাওয়াতকে স্থায়ী কমিটির সদস্য পদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, এই কমলজিৎ দিল্লি পুরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কয়েকদিন আগেই দিল্লি পুরসভায় মেয়র পদের প্রার্থী হিসেবে শেলি ওবেরয়ের নাম ঘোষণা করে আম আদমি পার্টি। এর পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের ডেপুটি মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে বাছা হয় আলি মহম্মদ ইকবালকে। সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে আপের এই দুই প্রার্থীই তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২৫০ ওয়ার্ড বিশিষ্ট দিল্লি পুরসভায় গত ৭ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। আপ ১৩৪ ওয়ার্ডে জয়লাভ করে। বিজেপি জয়ী হয়েছিল ১০৪টি ওয়ার্ডে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দিল্লি পুরসভার মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের পদে আপ প্রার্থীদের জয়লাভ এখন সময়ের অপেক্ষা। টানা তিনবার দিল্লি পুরসভা নিজেদের দখলে রাখলেও এবার পরাজয় স্বীকার করতে হয় বিজেপিকে। এদিকে এই ফলের জেরে বোর্ড গঠনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তা সত্ত্বেও পুরসভা দখলে রাখতে মরিয়া মোদি-শাহের দল। আগামী ৬ জানুয়ারি দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচন। তা সত্ত্বেও জমি ছাড়তে রাজি নয় স্যাফ্রন ব্রিগেড। আর সেই কারণেই মেয়র ও ডেপটি মেয়র পদে বিজেপির প্রার্থীপদ ঘোষণা করলেন তাঁরা।
এদিকে আবার কয়েকদিন আগে আপ কাউন্সিলরদের দলে টানতে বিজেপির পক্ষ থেকে আর্থিক প্রলোভন দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, মেয়র আ ডেপুটি মেয়র পদে দল ভাঙিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। মেয়র ও ডেপুটি মেয়ররে পদে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত। আবার অপর এক অংশের ধারনা, কয়েকদিন আগে মেয়র হিসেবে বিজেপির প্রার্থী পদ নিয়ে যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা তারই উত্তর দিতে বিজেপির এই পদক্ষেপ। কারণ, রাঘব চাড্ডা বলেছিলেন, গেরুয়া শিবির প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। এখন শেষ ফল কী দাঁড়ায় তার জন্য মুখিয়ে দিল্লিবাসী।