যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের বিজেপির

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। দায়ের হল এক জনস্বার্থ মামলা। সেখানে দাবি করা হয়েছে এনআইএ তদন্তের। উল্লেখ্য, এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলারক্ষার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফেও। আদালত সূত্রে খবর, কবকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিজেপি নেতা তথা মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি গাইডলাইন মেনে চলা হোক। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে আইনজীবী আবেদন করছেন বলে জানা গিয়েছে।

এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার যাদবপুরের এক প্রাক্তনী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা করেন ওই প্রাক্তন ছাত্র। সূত্রে খবর, মামলাকারীর নাম অভ্র সেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা করা হয়। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি এনআইকেও তদন্তে যুক্ত করার আবেদন জানান তিনি।

এদিকে আবার যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের তরফেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সুদীপ রাহা এই মামলা দায়ের করেন বলে জানা যায়। মামলা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মূলত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সিসিটিভি বসানো, বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয় আদালতে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে সৌরভ চৌধুরী নামে এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আরও দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে দফায় দফায় আরও দশজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরই পাশাপাশি যাদবপুরের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে পুলিশ। ধৃতদের মোবাইল ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। উদ্ধার হয়েছে একটি সন্দেহজনক ডায়েরি। যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যে পড়ুয়ার উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের তত্ত্ব উঠে আসছে। ঘটনার সময় কারা সেখানে উপস্থিত ছিল, মৃত্যুর পিছনে সঠিক কী কারণ আছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে ঘটনার আসল কারণ নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি পুলিশ। ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 11 =