নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ‘সোনামুখীর চারটি অঞ্চলে বোর্ড গঠন করছি। আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে, তৃণমূলের অনেক জয়ী প্রার্থী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’ এমনই বিস্ফোরক দাবি বিজেপি বিধায়কের। পালটা কটাক্ষ তৃণমূলের।
২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সোনামুখী ব্লকের দশটি পঞ্চায়েতের মধ্যে চারটি দখল করেছে বিজেপি। অন্যদিকে ছয়টি পঞ্চায়েত দখল করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই জয়ের আনন্দে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে আনন্দ উচ্ছ্বাস করছেন। এইরকম এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরমির বিস্ফোরক মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে শোরগোল। তবে কি বিজেপি এবার ঘোড়া কেনাবেচায় ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে, উঠছে প্রশ্ন ।
সোনামুখী ব্লকের ডিহিপড়াতে ডিহিপাড়া পঞ্চায়েতের বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিবাকরবাবু বলেন, ‘ডিহিপাড়া পঞ্চায়েতের ১৫টি সংসদের মধ্যে দশটি সংসদ আমরা ১০টি জিতেছি। আগামী দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। তবে শুধু ডিহিপাড়া নয়, বিভিন্ন জায়গার তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ইতিমধ্যেই সোনামুখী ব্লকের চারটি পঞ্চায়েতে আমরা বোর্ড গঠন করছি এবং আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে।’
তবে বিজেপি বিধায়কের এই দাবিকে একেবারেই মানতে নারাজ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বিধায়কের এই মন্তব্যের পালটা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মণ্ডল বলেন, ‘সোনামুখীতে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ তৃণমূল দখল করেছে, এসব দেখে বিজেপি বিধায়কের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে উলটোপালটা বলছেন।’ এছাড়াও তিনি দাবি করেন, ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীরাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা দরজা খুলে দিলে সোনামুখীতে বিজেপি বলে কিছু থাকবে না।’
শাসক বিরোধী এই তরজার মধ্যে আগামী দিনে সোনামুখীর রাজনীতিতে কোন দিকে জল গড়ায় সেদিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।