ভোট দেননি বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র! নাগরিকত্ব কাড়ার পরামর্শ সুজাতার

নিজস্ব প্রতিবেদন, বিষ্ণুপুর: ভোট দিলেন না বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ! নিন্দা রাজনৈতিক মহলে, সৌমিত্র খাঁর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া উচিত, উনি চাইছেন ওঁর দলের প্রার্থী সুভাষ সরকার হেরে যাক, এমনটাই দাবি সুজাতা মণ্ডলের।
প্রায় আড়াই মাস ধরে মানুষের কাছে ভোট চাইতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছেছেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ, দিনের শেষে নিজেই ভোট দিলেন না বলে দাবি। শনিবার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের দেশের সবথেকে বড় নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। এই নির্বাচনেবিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ ভোট দেননি বলে দাবি। আর এরপরেই নিন্দার ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে।
সৌমিত্র খাঁ বাঁকুড়া লোকসভার মেজিয়া ব্লকের দুর্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ডক্টর সুভাষ সরকার। নির্বাচনের দিন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরে একটি বেসরকারি হোটেলে ওয়াররুম বানিয়ে দিনভর তদারকি করেন। সকালে উঠেই প্রথমে বিষ্ণুপুরের পাশে ডিহর গ্রামে বাবা ষাঁড়েশ্বরের মন্দিরে পুজো দিতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানে ভক্তদের প্রসাদ খাইয়ে রাস্তায় কর্মীদের কাছে ঘুগনি মুড়ি খেয়ে পুনরায় ঢুকে পড়েন বেসরকারি হোটেলে। একবার তাঁকে দেখা যায় হোটেলের ব্যালকনিতে মেয়েকে কোলে নিয়ে খোঁজ মেজাজেও।
ভোট না দেওয়ার কারণ হিসাবে সৌমিত্র খাঁর দাবি, ‘এখান থেকে ভোটকেন্দ্রে যেতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগত, আসতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে। মোট ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। আমার নৈতিক কর্তব্য ছিল ভোট দেওয়া এটা ঠিক কথা। নিশ্চিত ভাবে আমি গেলে সুভাষদার একটা ভোট বাড়ত। কিন্তু যেহেতু পাঁচ ঘণ্টা ডিলে হত এই কারণে পারলাম না। ভোট দেওয়াটা অত্যন্ত দরকার। বিষ্ণুপুর একবার ছেড়ে চলে গেলে এই ভোটটা হত না।’
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের দাবি এটা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক কাজ। একজন সিটিং সাংসদ, বিজেপির প্রার্থী। যেখানে উনি ল মেকার বলেন নিজেকে। সেখানে ল ব্রেক করছেন। সারাদিন হোটেলে বসে ফূর্তি মেরে কাটিয়ে দিলেন তিনি। উনি বুঝে গিয়েছেন নিজে হারছেন, তাই বাঁকুড়ায় ওঁদের দলের প্রার্থী সুভাষ সরকারের হার নিশ্চিত করার জন্য তিনি ভোট দিলেন না। তবে এটা বুঝতে হবে উনি সুভাষ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করলেন। এটা বুঝতে হবে যদি সুভাষ সরকার এক ভোটে হারে তার জন্য দায়ী থাকবেন সৌমিত্র খাঁ।
সমগ্র বিষয়ে সুজাতা মনে করছেন, ওঁর দেশের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া উচিত এবং প্রার্থীপদ বাতিল করা উচিত। কারণ উনি জেলায় থেকে ভোট দান প্রয়োগ করলেন না। উনি চাইছেন ওঁর দলের প্রার্থী সুভাষ সরকার হেরে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − 2 =