নিজস্ব প্রতিবেদন, মন্তেশ্বর: এক ব্যক্তির রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার জামনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেলিয়া গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম অভিজিত রায় বলে জানা গিয়েছে। মৃত ব্যক্তি বিজেপির বুথ সভাপতি বলে দাবি করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁকে মেরে ঝুঁলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূল কোনও ভাবেই জড়িত নয় বলে জানিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
বিজেপির অভিযোগ, ভোটের আগের দিন মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ রায়কে হুমকি দেওয়া হয়। ভোটের পর এলাকায় বিজেপি জিতেছে তা বুঝতে পেরেই পরিকল্পনা করেই বুধবার রাতে বাড়ির পাশে একটি গোয়াল ঘরে চালে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরই বিজেপির কর্মী সমর্থকরা প্রথমে গ্রামে জড়ো হন, সেখান থেকে পরে থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিত তা। কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তিনি ১৬৮ নম্বর বুথের বিজেপি এজেন্ট ছিলেন। বিজেপির জেলার সম্পাদক বিশ্বজিৎ পোদ্দারের দাবি, বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই কর্মী। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীর সমর্থনে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তাঁদের অনুমান, ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পিছনে তৃণমূল দায়ী অর্থাৎ তৃণমূল আশ্রিত দুÜৃñতীরা ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে। তাই দোষীদের শাস্তির দাবিতে তাঁরা থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখান।
এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। কারণ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই, উনি খুন হয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন, সেটা পুলিশ তদন্ত করে অবশ্যই জানাবে। নির্বাচনের পরেই বিজেপির ওই বুথ সভাপতির রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক মহলে রহস্য দানা বেঁধেছে।