বাঁকুড়ায় মনোনয়নপত্র দাখিলে জেলা পরিষদে এগিয়ে বিজেপি!

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও, জেলা পরিষদে এগিয়ে রইল বিজেপি।

২০২৩ সাধারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের কাজ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে।  বাঁকুড়া জেলায় ১৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন হাজার ১২৯টি আসনের মধ্যে আট হাজার ৮৫৫টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি দু’ হাজার ৬৩১টি, সিপিএম দু’ হাজার ১২৬টি,  ফরওয়ার্ড ব্লক ২৮টি, এসপি ৪৭ টি, সিপিআই পাঁচটি, তৃণমূল কংগ্রেস তিন হাজার ৩৫৫টি, কংগ্রেস ৯৫টি, নির্দল ও অনান্যরা ৫৬৫টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

অন্যদিকে, ২২টি পঞ্চায়েত সমিতির ৫৬১টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে এক হাজার ৯২০টি। তার মধ্যে বিজেপি ৬০৯টি, সিপিএম ৪৩৯টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ১১টি, আরএসপি ১৪টি,  সিপিআই দু’টি, কংগ্রেস ৪০টি, তৃণমূল কংগ্রেস ৬৫৯টি  এবং নির্দল ও অনান্যরা ১৪৬টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা করেছে।

জেলা পরিষদের ৫৬টি আসনে ২৮৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে বিজেপি ৭২টি, সিপিএম ৫৪টি, কংগ্রেস ৪৫টি ও সিপিআই দু’টি, ফরওয়ার্ড ব্লক দু’টি, আরএসপি তিনটি,  নির্দল ও অনান্যরা ৪১টি  আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। বিষ্ণুপুর মহকুমার ‘সন্ত্রাস কবলিত’ কোতুলপুর, জয়পুর ও ইন্দাস পাত্রসায়রে ব্লকে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিরোধী সিপিএম পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়পুরে একটি ও ইন্দাসে সাতটি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও  বিজেপি কোনও মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি। অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ইন্দাসে বিজেপি একটি ও সিপিএম ২৬টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে বলে জানা গিয়েছে।

এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র বলেন, ‘‘পিসি সরকারের যাদুও ফেল।’’ মনোনয়নপত্র জমার ক্ষেত্রে শাসক দলকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘এরাজ্যে ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিটে চাকরি হয়েছে, যেখানে ইন্টারভিউতে না বসে চাকরি হয়েছে, সেখানে সব কিছুই সম্ভব। এবার সমস্ত গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে।’’ এই অবস্থা যদি মনোনয়নকালে হয় তবে মনোনয়ন প্রত্যাহার, ভোট আর কাউন্টিংয়ে কি হবে, তা সহজেই অনুমেয় বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি, বিধায়ক অলোক মুখার্জির দাবি, ‘‘ফেলের প্রশ্ন নেই, আমরা পাশ করবই। বিজেপি বিধায়করা ভোটে জিতেও জনবিচ্ছিন্ন। আমরা ভোটে হেরেও মানুষের পাশে আছি।’’ বিরোধীদের ‘মানুষ তাড়া করছে’, তাঁরা তাড়া করেননি বলেও তিনি দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + nineteen =