বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, শীতল পানীয়ের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বিষ্ণুপুর: ঝাঁ চকচকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। রয়েছে ইমার্জেন্সি বিভাগ, শিশু বিভাগ, প্রসূতি বিভাগ। সব সময় হাসপাতাল ভর্তি হয়ে থাকে রোগী এবং রোগীর পরিজনে। এমন পরিস্থিতিতে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়রা চরম শীতল পানীয় জলের কষ্টে ভুগছেন। কারণ বাঁকুড়া জেলায় ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর। জেলায় জারি রয়েছে তাপপ্রবাহের সর্তকতা পাশাপাশি লাল সর্তকতা।
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই পানীয় জল খাওয়া অতি দুষ্কর হয়ে পড়ছে। কারণ তীব্র দাবদাহে গরম জল বেরচ্ছে পানীয় জলের ট্যাপকল দিয়ে। যা পান করা তো দূরের কথা হাতে মুখেই দেওয়া যাচ্ছে না। অগত্যার গতি সকাল হলেই রোগীর আত্মীয়স্বজনেরা হাসপাতালের বাইরে বেশ কিছুটা দূরে একটি টিউবওয়েলে ভিড় করে জল সংগ্রহ করছেন।
তাঁদের দাবি, রোগীকে ছেড়ে এসে তাঁদের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে জল সংগ্রহ করতে। এমনকি দিনে চার থেকে পাঁচ বার জল নিতে আসতে হয় এই টিউবওয়েলে। দু’দিন আগেই অত্যাধিক চাপের ফলে এই টিউবওয়েলও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, তখন তাঁদের জল আনতে হয়েছে বাসস্ট্যান্ড থেকে। এই অবস্থায় তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন হাসপাতালে যাতে শীতল পানীয় জলের ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।
বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়াল জানান, এত তাপপ্রবাহ এর আগে থাকেনি যে কারণেই পানীয় জল গরম হয়ে যাচ্ছে ফলে সমস্যা হচ্ছে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের। তবে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
যেখানে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলির জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভুরি ভুরি অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং হচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে এখনও পর্যন্ত বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কেন শীতল পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই উঠছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =