কলকাতা:গা-ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েও, শেষরক্ষা হল না। অবেশেষ কলকাতা পুলিশের জালে ব্যবসায়ী আমির খান।শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। কিছুদিন আগেই গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। তার বিরুদ্ধে মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যেমে জালিয়াতি করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় এনে শনিবার আমির খানকে আদালতে তোলার কথা।
কটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে কলকাতার ছ’টি জায়গায় গত ১০ সেপ্টেম্বর অভিযান শুরু করেছিল ইডি। তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আমিরের ঘরের খাটের তলা থেকে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে।
তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছিল না আমির খানের।সে ভিন রাজ্য থেকে বিদেশে পালাতে পারে এমনও আশঙ্কা করা হচ্ছিল। হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে গাজিয়াবাদে তার সন্ধান
এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে জেরা করে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল কীভাবে? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মোবাইল গেমিং অ্যাপের মারফত মোটা রোজগারের টোপ দেওয়া হত।গেম জিততে পারলেই মিলবে টাকা, এমন ছিল অফার। প্রথম ধাপে অত্যন্ত সহজ কিছু প্রশ্ন বা ধাঁধা দেওয়া হত। যার সমাধান করলেই বড় অঙ্কের পুরস্কারপ্রাপ্তি হত। স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেমেয়েরা আকৃষ্ট হয়ে ফাঁদে পা দেয়। এরপর অ্যাপের তরফে হাজার পাঁচেক টাকা জেতার লোভ দেখানো হয়। কিছু টাকা খুব সহজে জিতে অনেকে টোপ গিলে পরের ধাপে গিয়ে সমস্যায় পড়তেন। অল্প টাকা থেকে বড় অঙ্কের লাভের আসায় লোকজন টাকা দিয়ে খেলা শুরু করত। তারপর কৌশলে তা হাতিয়ে নেওয়া হত। ইডি সূত্রের দাবি, গোটা দেশজুড়ে এই প্রতারণার জাল ছড়ানো। এবং সেই পথে অর্জিত টাকাই গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে জমা হয়েছে। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, টাকাগুলো ধীরে ধীরে অন্যত্র সরানো বা বিনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। ইডি সূত্রে খবর, মোবাইল গেমিং অ্যাপের টোপ দিয়ে বাজার থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে।