ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত। এখনও কার্যতই লিখতে হচ্ছে। কারণ, সরকারি ভাবে কোনও দলই এখনও প্লে-অফ নিশ্চিত করেনি। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্স যে পয়েন্টে পৌঁছেছে এবং তাদের যা নেট রান রেট, এখান থেকে পা হড়কানোর সুযোগ নেই বললেই চলে। বরং, কেকেআরের পরবর্তী টার্গেট থাকবে, প্রথম দুইয়ে জায়গা ধরে রাখা নিশ্চিত করা। লখনউকে ৯৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষস্থানও দখল করল কেকেআর।
এ বারের আইপিএলে সবচেয়ে কঠিন ভেনু লখনউ। এই মাঠে লো-স্কোরিং ম্যাচই দেখা গিয়েছে। ২০০ প্লাস স্কোর কার্যত অসম্ভব। কলকাতা নাইট রাইডার্স সেটাই করেছে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর। ফিল সল্ট ও সুনীল নারিনের ব্যাটিং তান্ডব দেখে মনে হয়েছিল, আড়াইশো পেরোনে নিশ্চিত। যদিও নারিন ফিরতেই কেকেআরের রানে লাগাম। শেষ অবধি ৬ উইকেটে ২৩৫ করে কেকেআর। লখনউতে এটিই সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড।
রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় লখনউ। তাদের ব্যাটিং আক্রমণ শক্তিশালী হলেও ২৩৬ রানের টার্গেট তাড়া করা সহজ নয়। মার্কাস স্টইনিস চেন্নাইয়ের মাঠে যে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন, তেমন ব্যাটিং প্রয়োজন ছিল। কলকাতা নাইট রাইডার্স গত ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে মাত্র ১৬৯ রানের পুঁজি নিয়ে অনবদ্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল। এই বোলিং লাইন আপের উপর ভরসা রাখা যেতেই পারে।
ব্যাট হাতে এই ম্যাচে বড় রান পাননি আন্দ্রে রাসেল। বোলিংয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন। দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি। নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা হর্ষিত রানা নেন তিন উইকেট। ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীও। তাঁর নামেও তিন উইকেট। এর মধ্যে একটা দুর্দান্ত কট অ্যান্ড বোল রয়েছে। শেষ অবধি ১৩৭ রানেই অলআউট লখনউ। রানের নিরিখে এটিই সবচেয়ে বড় হার লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ সুপার জায়ান্টসের।