কলকাতা ফুটবল লিগে ঘরের মাঠে বড় জয় লাল-হলুদের

১ অগস্ট ইস্টবেঙ্গল দিবস। প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে চওড়া হাসি ফুটল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মুখে। একঝাঁক তরুণ ফুটবলার এ বারের কলকাতা ফুটবল লিগে খেলছেন। ইস্টবেঙ্গলের প্রতি ম্যাচেই নজর কাড়ছেন কোনও না কোনও তরুণ ফুটবলার। চলতি কলকাতা লিগে পরপর দুই ম্যাচে বড় জয় পেল লাল-হলুদ। ঘরের মাঠে এর আগে ইস্টার্ন রেলওয়েকে ৫-১ গোলে হারিয়েছিল মশালবাহিনী। এ বার উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিরুদ্ধেও ঘরের মাঠে ৫-০ ব্যবধানে জিতল ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগ প্রিমিয়ার ডিভিশনে ইস্টবেঙ্গলের অভিযান শুরু হয়েছিল ড্র দিয়ে। এরপর দুটো ম্যাচে জিতেছিল লাল-হলুদ শিবির। চতুর্থ ম্যাচে ফের ড্র করে পয়েন্ট নষ্ট হয় ইস্টবেঙ্গলের। সেখান থেকে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে মশালবাহিনী। ঘরের মাঠে পরপর দু’টো ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতল ইস্টবেঙ্গল। এতে টিমের আত্মবিশ্বাস যে বাড়ল, সন্দেহ নেই। একই সঙ্গে, তরুণ ফুটবলাররাও সেরা দেওয়ার রসদ পেয়ে গেলেন। আজ, সোমবার ইস্টবেঙ্গলের ঘরের মাঠে উয়ারি প্রথমার্ধে একটি পেনাল্টি পেয়েছিল। ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার আদিত্য় পাত্র সেই পেনাল্টি সেভ করেন। না হলে প্রথমার্ধ ১-০ এগিয়ে যেতে পারত উয়াড়ি। ওইটুকু বাদ দিলে প্রথমার্ধে কোনও টিমই গোলমুখ খুলতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গল শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলছিল। ইস্টবেঙ্গলের গুরনাজ ও আমনের ১টি করে শট পোস্টে লেগে ফেরে।ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সার্থক গলুইয়ের জায়গায় তন্ময় দাসকে নামান রিজার্ভ টিমের কোচ বিনু জর্জ। খেলায় গতি আসে। বাকি সময় আর ইস্টবেঙ্গলকে থামাতে পারেনি উয়াড়ি। ম্যাচের ৫ গোলই দ্বিতীয়ার্ধে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন অভিষেক কুঞ্জম। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে অভিষেক কুঞ্জমের একটি শট পোস্টে লাগে। তা না হলে হ্যাটট্রিক করে মাঠ ছাড়তে পারতেন। অভিষেক ছাড়া স্কোরলাইনে নাম লিখিয়েছেন আমন সিকে, দ্বীপ আর তন্ময়। একটি করে গোল করেছেন তাঁরা। তার মধ্যে ইনজুরি টাইমেই হয় তিন গোল। যদিও উয়াড়ির বিরুদ্ধে গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। আপাতত ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে বি-গ্রুপের টেবল টপার ইস্টবেঙ্গল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − twelve =