মাঠে হাতে গোনা কিছু পাকিস্তানের সমর্থক। তাঁরা যে মূলত বাবর আজমের ব্যাটিং দেখতে এসেছেন, এমনও বলা যায়। বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার। দলের ভরাডুবিতেও গত কয়েক ম্যাচে রান পেয়েছেন। ম্যাচের আগের দিনও বাবরকে নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা ছিল। শতরানের জুটি গড়ে ওপেনার আব্দুল্লা শফিক ফিরতেই গ্যালারিতে কিছুটা গর্জন। বাবর আজম ক্রিজে নামছেন। ব্যাটিং দেখার সৌভাগ্য খুব বেশি হল না। মাত্র ৯ রানেই ইতি বাবর অধ্যায়ের। পাকিস্তানের অবশ্য জিততে খুব একটা সমস্যা হল না। অনবদ্য বোলিং এবং ফখর জামানের ব্যাটিং দাপট। ৭ উইকেটের জয়ে সেমিফাইনালের জটিল অঙ্কেও ঢুকে পড়ল পাকিস্তান।
টানা হারে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। মাঠের বাইরেও নানা বিতর্কে জর্জরিত। আগের দিন আফগানিস্তানের জয়ে সেমিফাইনালের দরজা খুলে গিয়েছে অনেকের জন্যই। পাকিস্তানেরও ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য বাকি তিন ম্যাচেই বড় জয় চাই। একটা ধাপ পেরোল পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের বড় জয়ে নেট রানরেটও অনেকটা ভালো করে নিল পাকিস্তান। জয়ের মূল কৃতিত্ব প্রাপ্য পাকিস্তান বোলিং আক্রমণেরই।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ইডেন গার্ডেন্সে রান তাড়া করা সহজ। বিশেষ করে বছরের এই সময়ে শিশিরের প্রভাব রয়েছে। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ভুগল। নতুন বলে দাপট শাহিন আফ্রিদির। ওপেনার লিটন দাস কিছুটা ভরসা দেন। যদিও তা যথেষ্ঠ ছিল না। মিডল অর্ডারে গত কয়েক ম্যাচের মতোই ভরসা দিলেন সিনিয়র ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াধ। অর্ধশতরান করেন তিনি। কিছুটা লড়াই করেন সাকিব আল হাসান। পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪৫.১ ওভারে মাত্র ২০৪ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদি ও মহম্মদ ওয়াসিম তিনটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়ায় অনবদ্য শুরু পাকিস্তানের। এশিয়া কাপ থেকে পাকিস্তান টিমের ‘ফিকর’ ছিল ওপেনার ফখর জামানের ফর্ম নিয়ে। বিশ্বকাপেও ব্য়র্থতার জেরে তাঁকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়। অবশেষে ফেরানো হল অভিজ্ঞ ওপেনারকে। ‘ফকর’ হওয়ার মতোই পারফর্ম করলেন ফখর জামান। আব্দুল্লা শফিক ৬৮ রানে ফেরেন। ফখর সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন। যদিও দ্রুত ম্যাচ শেষ করার চেষ্টায় সেঞ্চুরি হাতছাড়া। মেহদি হাসান মিরাজের স্লগ সুইপে ফেরেন ফখর। ৭৪ বলে ৮১ রানের অনবদ্য ইনিংস তাঁর ব্যাটে। মহম্মদ রিজওয়ান এবং ইফতিকার আহমেদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩২.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পাকিস্তান।
ছবি: অদিতি সাহা