বাংলাদেশ যে চেন্নাই টেস্ট হারতে চলেছে, সেই দেওয়ালিখন স্পষ্টই ছিল। রবিবার লাঞ্চের আগেই বাংলাদেশের যাবতীয় প্রতিরোধ থেমে গেল। ভারত প্রথম টেস্ট জিতে নিল ২৮০ রানে।
চতুর্থ দিনের সকালে বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামান রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। ঘরের মাঠে অশ্বিন ভেলকি দেখালেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টি উইকেট নেন তিনি। জাদেজা নেন তিনটি। দুই রবির কিরণে ঝলসে গেল বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে অশ্বিন ও জাদেজা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ব্যাট হাতে। অশ্বিন সেঞ্চুরি করেছিলেন। জাদেজা অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন। প্রথম ইনিংসে দুই রবি তেজ না দেখালে চেন্নাই টেস্টের পরিণতি কী হত, বলা কঠিন।
চতুর্থ দিনের শুরুটা শ্লথগতিতে শুরু করেছিল বাংলার বাঘেরা। দিনের প্রথম আধ ঘন্টায় ১৫ রান তোলেন শাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। বুমরার লাফিয়ে ওঠা একটি বল শাকিবের আঙুলে আঘাত করে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েও ব্যাটিং চালিয়ে যান শাকিব। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আরও আগেই হয়তো ফিরে যেতেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ক্রিজের বাইরে এসে মারতে গিয়ে সময়ের গন্ডগোল করে বসেন শাকিব। ঋষভ পন্থ স্টাম্প করার সুযোগ হাতছাড়া করেন।
তৃতীয় দিনের শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৪ উইকেটে ১৫৮। চতুর্থ দিন ৭৬ রান জোড়েন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ভারতকে এদিন প্রথম উইকেট এনে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চতুর্থ দিনের সকালে প্রথমবার আক্রমণে এসেই শাকিবকে (২৫) ফেরান অশ্বিন। টেস্টে শাকিবের খারাপ সময় চলছেই। ৭ ইনিংসে কোনও পঞ্চাশ নেই বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারের।
অশ্বিনের পরে বাংলাদেশের ইনিংসে আঘাত হানেন জাদেজা। তিনি ফেরান লিটন দাসকে (১)। স্কোর বোর্ডে বাংলাদেশের রান তখন ৬ উইকেটে ২০৫। এর পরে ফের অশ্বিনের শিকার মেহেদি হাসান (৮)।
এক প্রান্ত দিয়ে একের পর এক উইকেট বাংলাদেশ হারালেও অন্য প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল। শেষমেশ ৮২ রানে তিনি আউট হন জাদেজার বলে। শান্ত ফিরে যাওয়ার পরে তাসকিন ও হাসান মাহমুদ এলেন আর গেলেন। ২৩৪ রানে থেমে গেল বাংলাদেশ।