২২ বল বাকি থাকতেই রোহিতদের হারিয়ে বিরাট জয় ব্যাঙ্গালোরের

কানায় কানায় পূর্ণ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের গ্যালারি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই। শুরু থেকেই অস্বস্তিতে মুম্বই ব্যাটিং লাইন আপ। মহম্মদ সিরাজ ফেরান ঈশান কিষাণকে। রিস টপলি বোল্ড করেন ক্যামেরন গ্রিনকে। আকাশ দীপের শিকার মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মহম্মদ সিরাজ প্রথম স্পেলে ৩ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। সিরাজকে পাওয়ার প্লে-তেই তৃতীয় ওভার দেন অধিনায়ক ডু’প্লেসি। রোহিত শর্মার উইকেটও সিরাজের ঝুলিতে আসতে পারত। ভুল বোঝাবুঝিতে সুযোগ হারায় আরসিবি। রোহিতের হাই ক্যাচ। দীনেশ কার্তিক-সিরাজ দু’জনেই ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টায়। রোহিত সে সময় ৮ বলে ১ রানে ছিলেন। ভুল বোঝাবুঝিতে ক্যাচ ফসকায়।  পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে আকাশ দীপের বোলিংয়ে কট বিহাইন্ড রোহিত। ১০ বলে ১ রান মুম্বই অধিনায়কের। পাওয়ার প্লে-তেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মুম্বই। আইপিএল অভিষেকে জ্বলে উঠতে পারলেন না ক্যামেরন গ্রিন। ভরসা দিতে পারলেন না সূর্যকুমার যাদবও। মুম্বই ব্যাটিং পুরো ২০ ওভার টিকতে পারবে তো! এমন সময় জ্বলে উঠলেন তিলক ভার্মা। গতবারের উঠতি প্রতিভা। এক বছরে কতটা পরিণত হয়েছেন চাপের মুহূর্তে দেখিয়ে দিলেন তিলক ভার্মা। উল্টোদিক থেকে পরপর উইকেট পড়লেও তিলককে টলানো যায়নি। ৩২ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এর মধ্যে ৪৬ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস তিল ভার্মার। আরসিবির স্লগ ওভার বোলিং চিন্তায় রাখতে পারে সমর্থকদের। ১২৩-৭ ছিল মুম্বই। লোয়ার অর্ডার ব্যাটার আর্শাদ খানকে সঙ্গে নিয়ে ১৮ বলে ৪৮ রান যোগ করেন তিলক ভার্মা। আরসিবি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়লেন করণ শর্মা। ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গার অনুপস্থিতিতে অনবদ্য বোলিং অভিজ্ঞ এই লেগ স্পিনারের। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন করণ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর টিমও ‘ঘরে ফেরা’ স্মরণীয় করে রাখল। অনবদ্য ফিল্ডিং এবং ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলি-ফাফ ডু’প্লেসি জুটির ব্যাটিং। এশিয়া কাপ থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনবদ্য ফর্মে রয়েছেন বিরাট কোহলি। প্রথম ম্যাচেই তার নমুনা পাওয়া গেল। বাইশ গজে ডু’প্লেসি-বিরাট দাপট। মাত্র ২৯ বলেই ছয় মেরে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ফাফ ডু’প্লেসি। বিরাট অর্ধশতরানে পৌঁছলেন ৩৮ বলে। এরপরই টপ গিয়ারে বিরাট। মনে হয়েছিল ১০ উইকেটেই জিতবে আরসিবি। যদিও জয়ের প্রায় কাছে আউট হয়ে যায় ডুপ্লেসি। ৪৩ বলে ৭৩ রানে ফেরেন আরসিবি অধিনায়ক। তিন নম্বরে নেমে দীনেশ কার্তিক ব্যর্থ। বিরাটের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করলেন বিরাট কোহলি। ৮২ রানে অপরাজিত প্রাক্তন অধিনায়ক। ২২ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের বিরাট জয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 8 =