টেনিস দুনিয়ায় বেশ বড়সড় ঘটনা। ডোপিংয়ের জন্য এক মাস নির্বাসিত হয়ে গেলেন এক নামী তারকা। যিনি ক’দিন আগেও এক নম্বর ছিলেন। রাফায়েল নাদালের অবসর নিয়ে যখন সারা বিশ্ব আবেগতাড়িত, ঠিক তখনই ঘটল এমন ঘটনা। এই তারকা অবশ্য ছেলেদের টেনিসের নন, তিনি মেয়েদের টেনিসের ইগা স্বোয়াতেক। পোল্যান্ডের এই তারকা টেনিস প্লেয়ারের পকেটে রয়েছে ৬টা গ্র্যান্ড স্লাম। এই প্রজন্মে মেয়েদের টেনিসে অন্যতম সেরা প্লেয়ার হিসেবে ধরা হয় ইগাকে। সেই তিনি ডোপিংয়ের দায়ে নির্বাসিত হওয়ায় টেনিস দুনিয়া স্তম্ভিত।
ঘটনা হল, অগস্ট মাসের একটি টুর্নামেন্ট চলাকালীন ডোপ টেস্টে ফেল করেছিলেন ইগা। সেই সময়ই তিনি টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ান। এই নিষিদ্ধ ওষুধ নেওয়ার দায় অবশ্য তাঁর ঘাড়ে পুরোপুরি চাপাচ্ছে না আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন। তারা বরং যুক্তি দিয়েছেন, খানিকটা না বুঝেই অর্থাৎ অজ্ঞতার কারণেই ওই ওষুধ নিয়েছিলেন ইগা। ট্রিমেটাজ়িডাইন নামক এই ওষুধ মূলত হৃদরোগের কারণে নেওয়া হয়। অনেক সময় জেটল্যাগের জন্যও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই ওষুধ নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত। যে কারণে ইগাকে এক মাস নির্বাসন দেওয়া হয়েছে। অবশ্য তাঁর এই অপরাধকে খুব একটা বড় করে দেখা হচ্ছে না। নির্বাসনের আগে থেকেই তিনি বেশ কিছু টুর্নামেন্টে অংশ নেননি। নির্বাসিত হলেও সহানুভূতির হাওয়া রয়েছে ইগার দিকে।
খেলার দুনিয়ায় ডোপিং নতুন নয়। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, যে ওষুধ অ্যাথলিটরা নিচ্ছেন, তার গুনাগুণ, ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কোনও ধারণাই থাকে না প্লেয়ারদের। আর তাতেই বিপদে পড়েন তাঁরা। ইগার ক্ষেত্রেও তেমনই ঘটেছে বলে ধরে নিয়েছে আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন। নির্বাসনের এই একটা মাস বিশ্বের ২ নম্বর টেনিস প্লেয়ারের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। সে সব কাটিয়ে কোর্টে স্বমহিমায় ইগা ফিরবেন, তাঁর ভক্তরা এটাই চাইছেন।