কুন্তল, গোপালের মুখে নাম শোনা গেলেও তাঁদের চিনতেন না বলে দাবি বিভাসের

নিয়োগ দুর্নীতির নেটওয়ার্কে, যে সব সামনে সামনে আসছে, তাতেই এবার নতুন সংযোজন বিভাস চক্রবর্তী।তাপস মণ্ডল ও গোপাল দলপতির মুখে শোনা গিয়েছে তাঁর নাম। বিভাসের নাম বারবার সামনে এসেছে। গোপাল দলপতি জানিয়েছেন, বিভাসের সঙ্গে মানিকের সখ্যতার কথা। এদিকে বিভাস দাবি করেছেন, তিনি কউকে চেনেন না। বিভাসের দাবি আরও সাংঘাতিক। স্পষ্ট জানান, ‘গোপাল দলপতি ও কুন্তল ঘোষকে আমি চিনি না ,জানিও না। চারটি ছবি দেখালে তার মধ্যে আমি কোনটা সেটা ও বলতে পারবে না। এই কুন্তল, দলপতিদের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই দেখাও হইনি জীবনে। এখন চোর ডাকাতরা বাঁচার জন্য অনেকের নাম করে। আমি তো চাই ইডি সিবিআই তদন্ত করুক , আসল সত্য প্রকাশ্যে আসুক। ইডি সিবিআই এর তদন্ত করার অধিকার আছে। তারা একশোবার ডাকলে একশোবার যাবো। আমার কোন অবৈধ কোন কিছু নেই। আমি এখন সক্রিয় ভাবে কোন রাজনীতি করি না। এখন আমি সেন্ট্রাল ভ্যালুয়েশন কর্পোরেশনের ডাইরেক্টর পদে আছি।‘

এদিকে সূত্রে খবর, কলকাতেই রয়েছে তাঁর ফ্ল্যাট। সরকারি নথি অনুসারে বিভাস সরকারের ফ্ল্যাটের ঠিকানা ১৮ কার্তিক বোস স্ট্রিট। এদিকে  বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সিটি অফিসও এই একই ঠিকানায়। স্থানীয় সূত্রে খবর,  কার্তিক বোস লেনের এই ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যে যেতেন বিভাস।নীলবাতি লাগানো কালো কাচ দেওয়া স্করপিও গাড়িতে চেপে যেতেই দেখা গেছে তাঁকে। শুধু াতই নয়, সঙ্গে থাকত বন্দুকধারী দেহরক্ষী।আর তিনি নাকি এই ঠিকানায় এলেই ফ্ল্যাটের বাইরে জমত প্রচুর ছেলেমেয়েদের ভিড়।তাদের হাতে থাকত কাগজের ফাইল। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়েক দিন পর থাকার পর বিভাস যখন ফিরে যেতেন, তখন বেশ কয়েকটি ট্রাঙ্ক উঠত তাঁর গাড়িতে। প্রতিবেশীরা অব্শ্য জানতেন বা তাঁদের বলা হয়েছিল তিনি ধর্মীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত।

এদিকে এই নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে সিবিআই মাঠে নামার পর থেকেই এই ফ্ল্যাটে যাতায়াত বন্ধ করেন বিভাস।ফ্ল্যাটের বাইরে থাকা ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর বোর্ড সরে গিয়ে সেখানে রাতারাতি বসানো হয় ‘ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ সাধনপীঠ’ লেখা বোর্ড। পাশাপাশি এও জানা গেছে যে আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাট সেই সত্যম অ্যাপার্টমেন্টের বাইরেও ওই অ্যাসোসিয়েশনের নাম লেখা একটি বোর্ড ছিল। এই ঠিকানায় যে সিটি অফিস চলতো সেটা কেউ যাতে চিহ্নিত করতে না পারে, সে জন্য হলুদ বোর্ডে অ্যাসোসিয়েশনের নাম লেখা অংশটুকু ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।

শুধু তাই নয়, বিভাসের প্রতিবেশীদের তরফ থেকে এও জানা গেছে, বিভাস যখন এই ফ্ল্যাট ছেড়ে বের হতেন, তখন তাঁকে দু’হাতে টাকা বিলাতেও দেখেছেন বেশ কয়েকজন।নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এখন তাঁর নাম সামনে আসতেই প্রতিবেশীরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁর ফ্ল্যাটের বাইরে সাক্ষাৎ প্রার্থীরা আসলে কি চাকরির জন্যই লাইন ছিল কি না তা নিয়েই। এই ফ্ল্যাটটি ইতিমধ্যেই ইডি সিল করে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − fifteen =