গুজরাতে ৯৮টি আসনে বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি সোমবার উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওডিশাতেও উপ-নির্বাচন হয়। কেবল উত্তরপ্রদেশেরই ১টি লোকসভা ও ২টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হয়। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, গুজরাতের পাশাপাশি আরও উত্তরপ্রদেশেও বিজেপির প্রেস্টিজ ফাইট। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ছত্তিশগড়ের একটি করে বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হয় এদিন।
তবে গুজরাতের পরই সবার নজরে ছিল উত্তরপ্রদেশের মইনপুরে লোকসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন। সমাজবাদী পার্টি প্রধান মুলায়ম সিং যাদবের মৃত্যুর পর মইনপুর কেন্দ্রটি ফাঁকা হয়। সেই শূন্যস্থান পূরণের জন্যই এদিনের এই উপ-নির্বাচন। এই কেন্দ্র ধরে রাখা অখিলেশ যাদবের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। উত্তরপ্রদেশের উপ-বিধানসভা নির্বাচনে মইনপুর কেন্দ্রে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৮.৭২ শতাংশ। এদিকে মইনপুর কেন্দ্রে পুলিশ সমাজবাদী পার্টির সমর্থকদের ভোট দিতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ জানান জেলা সভাপতি অলোক শাক্য। এদিকে সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ সরকার নির্বাচন পরিচালনা করছে। এরই পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, মইনপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের টাকা বিলি করে ভোট কেনার অভিযোগ তুলতে দেখা যায় মুলায়ম-পুত্রবধূ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদবকে।
এরই পাশাপশি উত্তরপ্রদেশের ২টি বিধানসভা কেন্দ্রেও নির্বাচন হয়। এই কেন্দ্রগুলি হল, রামপুর সদর এবং খাটুয়ালি। তবে উত্তরপ্রদেশের উপ-বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে এসপি-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রামপুর। রামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথে চেয়ার-টেবিল পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয় বলে সূত্রে খবর। আর এই ভাঙচুর বিজেপির কর্মীরাই করেছেন এমন অভিযোগ তুলে ঘটনার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রামপুর সদর কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৩.৯৭ শতাংশ। এদিকে খাটুয়ালি কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল ৬.৯০ শতাংশ।
এদিন বিহারের কুরহানি বিধানসভা কেন্দ্রেও ছিল উপ-বিধানসভা নির্বাচন। এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে ১১ শতাংশ। বেলা ১১টা পর্যন্ত কুরহানি কেন্দ্রে ভোট পড়ে ২৪ শতাংশ। এদিন উপনির্বাচন হয় ওড়িশার পদমপুরে। পদমপুর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২.৫৭ লক্ষ। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, দুপুর ১টা পর্যন্ত পদমপুর কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৪৭ শতাংশ। বিজেডি-র হাতে থাকা এই কেন্দ্র ধরে রাখতে মরিয়া নবীন পট্টনায়েক।
অন্যদিকে, এই কেন্দ্র দখল করতে প্রচারে খামতি রাখেনি বিজেপি। এরই পাশাপাশি উপ-নির্বাচন ছিল ছত্তিশগড়ের ভানুপ্রতাপপুরে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ভানুপ্রতাপপুর কেন্দ্রে ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এখানে এদিন সকালে নজর কাড়েন ভোটাররা। এখানে এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৯.৮৯ শতাংশ। যা রেকর্ড বললে অত্যুক্তি হবে না।এরই পাশাপাশি সোমবার রাজস্থানের সর্দারশহর বিধানসভা কেন্দ্রেও উপ নির্বাচন হয়। এদিন দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৩২.৬৪ শতাংশ।