বিদেশ সফর থেকে ফিরেই ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে বিজেপির সভাতেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিশানা দাগলেন তৃণমূলকে। মঙ্গলবার ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে তৃণমূল শাসিত বাংলায় নানা দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তাঁর সাফ দাবি, কয়লা, টু’জি, কমনওয়েলথ কেলেঙ্কারির দুর্নীতিকে আবার দেশে ফিরিয়ে আনতেই অন্যান্য বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন একটা সময়ে যে দলগুলি একে অপরের নিন্দা করত, আজ তারাই বিজেপিকে হঠাতে একসঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাঁর মতে, ‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রোজ ভ্যালি দুর্নীতি, সারদা দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গোরু পাচার, কয়লা পাচার চলছে। বাংলার মানুষ কখনও এই দুর্নীতি ভুলতে পারবে না।’ তৃণমূলের পাশাপাশি দেশের অন্য বিরোধী দলগুলিকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নিশানায় রয়েছে বিরোধীদের মহাজোটও।
তিনি বলেন, প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রোজগার মেলা’ কর্মসূচিতে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৃণমূলের নাম না করে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন মোদি। তিনি বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি আপনারা একটি রাজ্য থেকে পাওয়া খবরে দেখেছেন কী ভাবে ‘ক্যাশ ফর জব’ (টাকার বিনিময়ে চাকরি)-এর ঘটনা ঘটেছে। রেস্তরাঁয় রেট কার্ডের মতোই সেই রাজ্যে বিভিন্ন স্তরের সরকারি চাকরির বিভিন্ন ‘দর’ রয়েছে।’
মঙ্গলবার সরাসরি তৃণমূল এবং বাংলার নাম করে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। শুধু তৃণমূল নয়, গত ২৩ মে পাটনায় নীতীশ কুমারের ডাকা বিজেপি বিরোধী বৈঠকে হাজির বিভিন্ন দলকে নিশান করেন প্রধানমন্ত্রী। মহারাষ্ট্র এনসিপির বিরুদ্ধে সেচ দুর্নীতি অভিযোগ, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে নেতাদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পশুখাদ্য ও রেলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মোদির মুখে এসেছে কংগ্রেস প্রসঙ্গ। ইউপিএ জমানার খনি বরাত দুর্নীতির অভিযোগ, কমনওয়েলথ কেলেঙ্কারির অভিযোগ এমনকি, আদালতে খারিজ হয়ে যাওয়া টু-জি কাণ্ডের কথাও শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে!