এমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলার পেসার

মহিলা ক্রিকেটে আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের সিনিয়র দলের কোনও ট্রফি নেই। বেশ কয়েক বার সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। মেয়েদের ক্রিকেটে ভারতের প্রথম আইসিসি ট্রফি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। এ বছরই শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী সংস্করণেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। সিনিয়র দলের দুই ক্রিকেটার শেফালি ভার্মা এবং রিচা ঘোষও ছিলেন। শেফালির নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতের সাফল্যের অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন বাংলার পেসার তিতাস সাধু। বিশেষ করে ফাইনালে তাঁর স্পেল অনবদ্য। তিতাসকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বাংলা এবং ভারতীয় ক্রিকেট। সেই পথেই যেন এক ধাপ এগোলেন তিতাস। এমার্জিং এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেন বাংলার পেসার। এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারত এ দলকে নেতৃত্ব দেবেন শ্বেতা শেরাওয়াত। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে শেফালি ভার্মার ডেপুটি ছিলেন শ্বেতা। মূলত ওই দলটিকেই ধরে রাখা হয়েছে। আগামী ১৩ জুন শুরু হবে এমার্জিং এশিয়া কাপ। হংকংয়ে হবে ৮ দলের এই প্রতিযোগিতা। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী নুসিন আল কাদেরকেই কোচ করা হয়েছে। বোর্ডের তরফে যে স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে তা হল-শ্বেতা শেরাওয়াত (ক্যাপ্টেন), সৌম্যা তিওয়ারি (ভাইস ক্যাপ্টেন), তৃষা গঙ্গাড়ি, মুসকান মালিক, শ্রেয়াঙ্কা পাটিল, কনিকা আহুজা, উমা ছেত্রী (উইকেট কিপার), মমতা মাদিওয়ালা (উইকেট কিপার), তিতাস সাধু, যশশ্রী, কাশ্বী গৌতম, পার্শ্ববী চোপড়া, মন্নত কাশ্যপ, বি অনুশা। অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপ ফাইনালে তিতাস সাধু প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০টি ডট বল। গতি এবং সুইংয়ে বাজিমাত তিতাসের। বিশ্বকাপ সাফল্যের জেরে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেও সুযোগ পান তিতাস। দিল্লি ক্যাপিটালসে ছিলেন। তবে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ভারত এ দলে সুযোগ পাওয়া শ্রেয়াঙ্কা পাটিল, কনিকা আহুজারা উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগেও খেলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − twelve =