কেরলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত শুরু বাংলার

উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে রঞ্জি অভিযান শুরু করেছিল বাংলা। সেই ম্যাচে ছ’পয়েন্টেরও হাতছানি বাংলার কাছে। মরিয়া চেষ্টা করলেও তিন পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের তরুণ ব্যাটার প্রিয়ম গর্গ একা কুম্ভ দাঁড়িয়েছিলেন। বাংলার অস্বস্তি বেড়েছিল ঘরের মাঠেই। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বিহারের বিরুদ্ধে কল্যাণীতে নামার কথা ছিল বাংলার। প্রথম দিন আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টি। বাকি তিন দিনেও মাঠ রেডি করা যায়নি।

গত ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়েই কেরল ম্যাচ কল্যাণী থেকে সল্টলেক যাদবপুর ক্যাম্পাসে সরিয়ে আনা হয়। দানা ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রবল বৃষ্টির কথা ভেবে এই ম্যাচ পিছনোর আর্জি জানিয়েছিল বাংলা ক্রিকেট সংস্থা। বোর্ড অবশ্য সেই আর্জি মানেনি। শনিবার ম্যাচের প্রথম দিন মাঠ ভেজা থাকার কারণে খেলা শুরু করা যায়নি। এ দিনও সকাল থেকেই অপেক্ষা। বেশ কয়েক বার মাঠ পরিদর্শন হয়। অবশেষে বিকেলের সেশনে খেলা শুরু হয়। কেরলের বিরুদ্ধে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলা অধিনায়ক। এরপর পেসার ঈশান পোড়েলের কামাল।

ম্যাচের দ্বিতীয় দিন (বলা যায় প্রথম দিন) প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল ২৩ ওভার খেলা হবে। যদিও আলো কমে আসায় ১৫.১ ওভার খেলা হয়। এর মধ্যেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বাংলার। নবম ওভারে প্রথম ব্রেক থ্রু। ঈশান পোড়েলের বোলিংয়ে উইকেটের পিছনে ধরা পড়েন রোহন কুন্নুমাল। পরের বলেই কেরলের ধারাবাহিক পারফর্ম করা বাবা অপরাজিতকে ফেরান ঈশান। এ বারও কট বিহাইন্ড। পরের ওভারে প্রদীপ্ত প্রামাণিকের ঝুলিতে আদিত্য সরবটের উইকেট। ইনিংসের একাদশ ওভারে দলীয় ৩৮ রানে ওপেনার বৎসল গোবিন্দের উইকেট হারায় কেরল। দিনের খেলা শেষে ১৫.১ ওভারে ৪ উইকেটে মাত্র ৫১ রান তুলেছে বাংলা।

সোমবার প্রথম সেশনেই কেরলকে অলআউট করতে পারলে চালকের আসনে থাকবে বাংলা। এর জন্য সবার আগে সচিন বেবির উইকেট চাই। ৩ উইকেট নেওয়া ঈশান পোড়েলের থেকে এমন প্রত্যাশাই থাকবে বাংলা শিবিরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =