একেই বলে কামব্যাক… বছর ছয়েক পর রঞ্জি ট্রফিতে ফিরলেন ভুবনেশ্বর কুমার। আর কামব্যাক ম্যাচেই দেখা গেল ‘ভুবি ধামাকা’। গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে উত্তরপ্রদেশ বনাম বাংলা ম্যাচের প্রথম দিন পড়েছিল ১৫টি উইকেট। যার মধ্যে বাংলার ৫টি উইকেট নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর। আর উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৪টি উইকেট নিয়েছিলেন মহম্মদ সামির ভাই, ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন ডেবিউ রঞ্জি ম্যাচ খেলতে নামা সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। এবং ঈশান পোড়েল পেয়েছিলেন ২টি উইকেট। দ্বিতীয় দিন ৯৫-৫ থেকে শুরু করে বাংলা। সেখান থেকে শেষ অবধি ১২৮ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করল বাংলা। নেপথ্যে মহম্মদ সামির ভাই মহম্মদ কাইফের লড়াকু ব্যাটিং। বাংলার প্রথম ইনিংসে সর্বাধিক রান এসেছে তাঁর ব্যাটেই।
যশ দয়াল দ্বিতীয় দিন বাংলার ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন। করণ লাল ফেরেন ১২ রানে। এরপর ছন্দে থাকা বাংলার ওপেনার শ্রেয়ন্স ঘোষ (৪২) এবং প্রদীপ্ত প্রামানিকের (১) উইকেট তুলে নেন ভুবনেশ্বর কুমার। দ্বিতীয় দিন পরপর কয়েকটি উইকেট হারানোর পর নবম উইকেটে জুটি বাঁধেন মহম্মদ কাইফ ও সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। ১০৬ বলে কাইফ ও সুরজ তোলেন ৫২ রান। দাদা মহম্মদ সামির মতো শেষবেলায় ব্যাট হাতে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা যায় মহম্মদ কাইফকেও। এরপর ৫১তম ওভারে ফের ভুবি ম্যাজিক। তিনি বোল্ড করেন সুরজকে (২০)। ঈশান পোড়েলের শেষ উইকেট তুলে নেন যশ দয়াল। শেষ অবধি ৭৯ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন মহম্মদ কাইফ। বল হাতে নিজের কাজ করার পর ব্যাট হাতেও সেরাটা তুলে ধরেছেন মহম্মদ কাইফ। ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছে মন্ত্রীমশাইয়ের বাংলা।
২২ ওভারে ৪১ রানের বিনিময়ে ৮ উইকেট, এটাই রঞ্জিতে ভুবনেশ্বর কুমারের কেরিয়ারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান। তাঁর এই বিধ্বংসী পারফরম্যান্স দেখে হয়তো টনক নড়তে পারে জাতীয় দলের নির্বাচকদের। কারণ, সদ্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ২টো টেস্টের জন্য ভারতীয় স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বোর্ড। এখনও বাকি ৩টি টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়নি। ফলে ঘরের মাঠে অতীতে সফল ভুবনেশ্বর কুমারের টেস্ট টিমে কামব্যাক হলে অবাক হওয়ার থাকবে না। অবশ্য দেশের মাটিতে স্পিনাররাই গুরুত্ব পাবেন। ২০১৮ সালে শেষ বার টেস্ট খেলতে দেখা গিয়েছিল ভুবিকে। এ বার দেখার ডানহাতি পেসার ভুবনেশ্বর কুমারকে বিধ্বংসী ফর্মে দেখে নির্বাচকরা অন্য পথে হাঁটেন কিনা।