বেলিংহ্যামের ‘মস্তিষ্ক’, পিকফোর্ডের হাত; সার্বিয়া পরীক্ষায় পাশ ইংল্যান্ড

প্রথম শট, তাতেই গোল। জুড বেলিংহ্যামের লাকি থার্টিন মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত হেডারে গোল করেন বেলিংহ্যাম। বক্সের দিকে দৌড়চ্ছিলেন। ভাসানো বলে ওই অবস্থাতেই হেডার। সার্বিয়া গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না। সার্বিয়া ধারাবাহিক ভাবে চাপ তৈরি করতে পারলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি। দু-দলকে কিছুতেই যেন আলাদা করা যাচ্ছিল না। বল পজেশনের ক্ষেত্রেও। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সার্বিয়া কর্নার পাওয়ায় আতঙ্কের পরিবেশ ছিল ইংল্যান্ড ডিফেন্সে। তবে সাফল্য আসেনি সার্বিয়ার। ১-০ গোলের অ্যাডভান্টেজ নিয়েই বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।

ক্লাব ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গত মরসুমে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন জুড বেলিংহ্যাম। জাতীয় দলেও সেই ফর্ম ধরে রেখেছেন। গোল করাই শুধু নয়, সার্বিয়া ডিফেন্সকে প্রবল চাপেও রেখেছিলেন। বিরতির পরই গোদরেজের পরিবর্তে ইলিচকে নামায় সার্বিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল সার্বিয়া। চাপের মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দেন ইংল্যান্ড সাইড ব্যাক ট্রিপিয়ের। কিছুক্ষণের ব্যবধানেই ট্রিপিয়ের বক্সের মধ্যে ফাউল করেন মিত্রোভিচকে। পেনাল্টির দাবি তোলে সার্বিয়া। যদিও ভিএআর নেননি রেফারি।

ম্যাচের ৬০মিনিটে মিত্রোভিচকে তুলে নেওয়া হয়। পরিবর্তে নামেন লুকিচ। আরও একটি পরিবর্তন হয়। নামানো হয় জুসান তাবিচকে। ক্যাপ্টেন মিত্রোভিচ যে ভাবে চাপ তৈরি করছিলেন, তাঁকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অবাক করার মতোই। ৭৭ মিনিটে অনবদ্য সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। পরিবর্ত হিসেবে নামার পরই জ্যারড বাওয়েনের ভাসানো বল। দারুণ হেড করেছিলেন হ্যারি কেন। গোলকিপারের হাত ফসকালেও ক্রসবারে লাগে বল। সেটি গোলকিপারের সামনেই পড়ে। দ্বিতীয় বার আর ভুল করেননি সার্বিয়া গোলরক্ষক।

প্রথমার্ধের তুলনায় অনেক ভালো খেলেছে সার্বিয়া। নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট আগে ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ডের দুর্দান্ত সেভ। নয়তো দু-পয়েন্ট খোঁয়া যেতে পারত ইংল্যান্ডের। দু-দলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ে দিল বেলিংহ্যামের সেই গোলই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − two =