বেলুন পাঠিয়ে ভারতেরও নানা জায়গা থেকে তথ্য চুরি করার পরিকল্পনা ছিল বেজিংয়ের। এবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে আমেরিকার একটি রিপোর্টে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বেলুনের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের মত ভারত থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করার পরিকল্পনা ছিল বেজিংয়ের। সেই জন্য চিনের নজরদারির তালিকায় ছিল ভারতেরও নাম।
দীর্ঘদিন ধরে চিনের দক্ষিণ উপকূলে এই বেলুন পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। তারপরেই ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান,ফিলিপিন্স থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য সংগ্রহের ছক কষছে চিন। ইতিমধ্যেই পাঁচটি মহাদেশে এই বেলুন দেখা গিয়েছে। তারপরেই ৪০টি দেশকে সতর্ক করে বার্তা দিয়েছে আমেরিকা।
কয়েকদিন আগেই আমেরিকার আকাশে দেখা যায় সাদা রঙের একটি রহস্যময় বেলুন। লাতিন আমেরিকাতেও কলম্বিয়ার আকাশে চিনা বেলুন দেখা যায়। গুপ্তচরবৃদ্ধির অভিযোগ থাকা সত্বেও কেন বেলুনটিকে আগেই ধ্বংস করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মার্কিন প্রশাসনের ভূমিকা। তবে কলম্বিয়ার আকাশসীমা থেকে নির্বিঘ্নে বেরিয়ে গিয়েছে বেলুন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমান, তাদের সমমনস্ক দেশগুলির উপরেই বেছে বেছে নজরদারি চালানোর ছক কষছে চিন। অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে চিনকে (China) কড়া বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, আমেরিকার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করলে ছেড়ে কথা বলবে না তাঁর দেশ।
এহেন পরিস্থিতিতে সাফাই দিয়ে চিনের দাবি, হাওয়ার দাপটে দিক ভুলে আমেরিকার আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল বেলুনটি। তবে গুপ্তচরবৃত্তির কারণে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই বেলুন পাঠায়নি চিন। কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ।