বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনের যে ডাক দেওয়া হয়েছে তার প্রস্তুতি চলছে জোড়াপুল শিবিরে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। বাংলায় একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা এবং আবাস যোজনার কাজের টাকা মিলিয়ে মোট ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূল থেকে বার বার অভিযোগ তোলা হয়েছে, এই টাকা আটকে থাকার জন্য বাংলার গরিব মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। এবার সেই ভুক্তভোগী মানুষদের চিঠি দিল্লিতে নিয়ে যেতে চলছে তৃণমূল। ‘বঞ্চনা’র কথা জানিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন একশো দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে সেই সব চিঠি এসে জমা হয়েছে ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে। অভিষেকের অফিসের সামনে যে বিপুল সংখ্যক চিঠি এসে জমা হচ্ছে মঙ্গলবার সেই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। লেখা হয়েছে, ‘অবিচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন বাংলার আমজনতা।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও লিখছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের অবিচারের বিরুদ্ধে জোট বাঁধছে বাংলার মানুষ।’
এই বিপুল সংখ্যক চিঠি নিয়ে দিল্লিতে যাবে তৃণমূল নেতৃত্ব। গান্ধি জয়ন্তীতে রাজধানীর বুকে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে তৃণমূল। গত ২১ জুালইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেই আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছে তৃণমূলের নেতৃত্ব। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ১ অক্টোবরই রাজধানীতে পৌঁছে যাবেন তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদরা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে অবস্থান বিক্ষোভ চালাবে ঘাসফুল শিবির। ফলে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে আরও চড়বে আন্দোলনের সুর। এদিকে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আজও রাজ্যকে খোঁচা দিয়েছেন টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার না করার ইস্যুতে। বলছেন, ‘রাজ্য চাইছে বরাদ্দের টাকা নিজের ইচ্ছামতো খাতে ব্যবহার করতে। সেটা সম্ভব নয়।’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আমরাও চাই গরিবের টাকা দেওয়া উচিত। আর এখন যখন জাতীয় রাজনীতিতে জোট হয়ে গিয়েছে। একশো দিনের কাজের ব্যাপার নিয়ে সেলিম-মমতা সবাই মিলে গিরিরাজ সিংয়ের কাছে যান।’