ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের তরফে দশটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে তাদের রিটেইন প্লেয়ারদের তালিকা পেশ করতে বলা হয়েছে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এই তালিকা আইপিএল কর্তৃপক্ষকে পেশ করতে হবে বলেই জানা গিয়েছে। ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আইপিএলের মিনি নিলাম রয়েছে। গত বছর ঘটা করে নিলামের আয়োজন করেছিল আইপিএল কর্তৃপক্ষ। সেখানে দুটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সে বার পুরনো দলগুলি তাদের সর্বোচ্চ ৪ জন প্লেয়ারকে রিটেন করে রাখতে পারত, কিন্তু এ বার মিনি নিলামে এমন কোনও নিয়ম নেই বলেই জানা গিয়েছে। আসন্ন মিনি নিলামে আইপিএলে অংশগ্রহণকারী দলগুলির হাতে অতিরিক্ত ৫ কোটি টাকা থাকবে। পাশাপাশি আগের নিলামে অবশিষ্ট টাকাও ব্যবহার করা যাবে। ইএসপিএন ক্রিকেট ইনফোর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৯৫ কোটি টাকা ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, পঞ্জাব কিংসের হাতে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা রয়েছে। অন্যদিকে লখনউ সুপার জায়ান্টস তাদের সমগ্র অর্থই খরচ করে ফেলেছে। চেন্নাই সুপার কিংসের হাতে এই মুহূর্তে ২ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা রয়েছে। এর পরের স্থানেই রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। তাদের হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। রাজস্থান রয়্যালসের হাতেও ৯৫ লক্ষ টাকা রয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ ৪৫ লক্ষ টাকা।
গত আইপিএল চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্সের হাতে ১৫ লক্ষ টাকা এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের হাতে ১০ লক্ষ করে টাকা রয়েছে।ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির হাতে সীমিত পরিমাণ অর্থ থাকলেও ব্রিটিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস, তাঁর সতীর্থ স্যাম কারান এবং অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের নাম নিলামে উঠলে তা নিয়ে দলগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা যেতে পারে বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটাল এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস সব মিলিয়ে ৭ জন বিদেশি খেলোয়াড় কিনেছে। তাই এ বারের নিলামে তারা ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করতে পারে। অন্যদলগুলি বেশ কিছু বিদেশি প্লেয়ারকে ছেড়ে দিয়ে শূন্যস্থান তৈরি করে সেখানে নতুন কাউকে নিয়ে আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।