চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বে এখনও অবধি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। শুধু এটুকু বললে যেন সম্পূর্ণ হবে না। দু-দল সেই অর্থে পরীক্ষার সামনেই পড়েনি। বিশেষ করে বলতে হয় ভারতের কথা। দুবাইয়ের পিচ-পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জের। এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে এখনও অবধি ভালো মানের পেস কিংবা স্পিন কোনওটাই সামলাতে হয়নি। ভারত অভিযান শুরু করেছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান। দক্ষতার দিক দিয়ে ভারতকে কোনও দলই চাপে ফেলতে পারেনি। সে কারণেই নিউজিল্যান্ড ম্যাচটাকে আসল পরীক্ষা মনে করা হচ্ছে। ভারতের কাছে আরও একটি কারণে এই ম্যাচটি স্পেশাল। কেরিয়ারের ৩০০তম ওডিআই-তে নামছেন বিরাট কোহলি।
নিউজিল্যান্ডের প্রথম দু-ম্যাচের চিত্রটাও কার্যত তাই। ভারতের তুলনায় আরও খারাপ অভিজ্ঞতাও বলা যায়। ব্যাটিং সহায়ক পিচে খেলেছে। পাকিস্তান বা বাংলাদেশ, কাউকে হারাতেই বেগ পেতে হয়নি। দুবাইয়ের পিচ-পরিস্থিতি তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। তবে ব্যাটিং পিচেও নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ভারতীয় ব্যাটারদের কাছে সেটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
কিউয়ি ক্যাপ্টেন মিচেল স্যান্টনার বিশ্বমানের স্পিনার। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিশেষ নজর কেড়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ভারতীয় ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেন এই অলরাউন্ডার। সঙ্গে স্যান্টনার, গ্লেন ফিলিপস ও রাচিন রবীন্দ্রও রয়েছেন। তেমনই আরও একটা দিক, কিউয়ি পেসার কাইল জেমিসন ও উইল ও’রুরকি। ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নজর কেড়েছিলেন ও’রুরকি। কাইলের পাশাপাশি তাঁর উচ্চতাও অনেকটা। দুবাইয়ের মন্থর পিচেও গতি কতটা তুলতে পারেন, শর্ট পিচ ডেলিভারি, ভারতীয় ব্যাটারদের চাপে ফেলতে পারে। সব দিক থেকে বলা যায়, সমানে সমানে লড়াই।
সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় একাদশে বদল হবে কি না, এ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকেই। পরীক্ষা নিরীক্ষারও ইচ্ছে হতে পারে। যদিও একাধিক বদলের সম্ভাবনা ক্ষীণ। খুব বেশি হলে দুটো বিষয় দেখা হতে পারে। সামিকে বিশ্রাম দিয়ে অর্শদীপ সিং এবং কুলদীপের জায়গায় বরুণ চক্রবর্তীকে দেখা হতে পারে। ঋষভ পন্থের সম্ভাবনা এই ম্যাচেও ক্ষীণ।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাডেজা, কুলদীপ যাদব/বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি/অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানা।