ইংল্যান্ড শিবিরে বেন স্টোকসকে লিডারের ভূমিকায় দেখা হয়। অসাধ্য সাধন করতে পারেন। প্রথম তিন ম্যাচে তাঁকে পায়নি ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস ফিরলেন, ইংল্যান্ডের ফেরা হল না। আফগানিস্তানের কাছে হেরে প্রবল চাপে ছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ডাচদের কাছে হেরে বিপর্যস্ত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কোনও এক দলের ভাগ্য ফিরত। তবে ইংল্যান্ড শিবিরে এত্ত বড় বিপর্যয় হবে, সেটা যেন কেউ প্রত্যাশা করেনি। ব্যাটিং স্বর্গে ২২৯ রানের বিশাল জয়। আর ইংল্যান্ডের বিপর্যয়।
হেনরিখ ক্লাসেন এবং মার্ক জানসেন রেকর্ড জুটি গড়েন। ষষ্ঠ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপ (১৩৭) ছিল হ্যান্সি ক্রোনিয়ে-শন পোলকের। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন হেনরিখ ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন। তাঁরা যোগ করেন ১৫১ রান। ম্যাচের মোড় ঘোরানো পার্টনারশিপও বলা যায়। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। চোটের কারণে খেলতে পারেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। নেতৃত্ব দেন এইডেন মার্কব়্যাম। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে শুরুতেই কুইন্টন ডি’ককের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রিজা হেনড্রিক্স, রাসি ভ্যান ডার ডুসেনরা বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। এরপর ক্লাসেনের ক্লাস ইনিংস। অনবদ্য সেঞ্চুরি হেনরিখ ক্লাসেনের। অলরাউন্ডার মার্কো জানসেন মাত্র ৪২ বলে ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট রিস টপলির। যদিও কোটার নবম ওভারে চোট পান। ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি টপলি।
বোর্ডে ৪০০ রানের লক্ষ্য। ওয়াংখেড়ে যতই ব্যাটিং স্বর্গ হোক, এত বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করা কঠিন। বেন স্টোকস একাদশে থাকায় তবু স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। টেস্ট ক্রিকেটে যারা বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন, সেই ইংল্যান্ডের হতশ্রী শুরু। লুনগি এনগিডি, কাগিসো রাবাডা, জেরাল্ড কোৎজে, মার্কো জানসেনের পেসের সামনে বিপর্যয়। মাত্র ৮৪ রানেই ৭ উইকেট পড়ে তাদের। একটা সময় মনে হয়েছিল ১০০ রানেই অলআউট হয়ে যাবে ইংল্যান্ড।
নবম উইকেটে মার্ক উড ও গাস অ্যাটকিনসন মাত্র ৩২ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে। একদিনের ক্রিকেটে রানের নিরিখে সবচেয়ে বড় জয়ের ব্যবধান ২৭৫ রানের। মার্ক উড-অ্যাটকিনসন জুটিতে এই রেকর্ড রক্ষা পেল। নয়তো ইংল্যান্ড আরও লজ্জায় পড়ত। তবে ২২৯ রানের ব্যবধানে হার! ওয়ান ডে ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের এবং বিশ্বকাপের মঞ্চে সবচেয়ে বড় হার।