স্নানঘরে কারিকুরি, সামান্য অদল-বদলে হয়ে উঠবে একদম নতুন

সারাদিনের দৌড়ঝাঁপ ক্লান্তি। তরতাজা হওয়ার জন্য স্নান খুবই জরুরি। আর গরমকাল হলে তো কথাই নেই!

অনেকেই সুন্দর করে বাড়ি সাজান ঠিকই, কিন্তু বাথরুমে বা স্নানঘরে তেমন নজর দেন না। কিন্তু স্নানঘরে একটু কারিকুরি করলেই সেটাও হয়ে উঠবে ভীষণ সুন্দর। প্রয়োজনে নিজের স্নানঘর হয়ে উঠবে আপনার স্পা রুম।

কীভাবে? রইল টিপস-

রং, আলো, টাইলস-

বাথরুমে এমন রং ব্যবহার করুন যাতে ভেতরটা উজ্জ্বল দেখায়। টাইলস বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সেটাই মাথায় রাখুন।সাদা বা অফ হোয়াইট কম্বিনেশনে টাইলস বাছুন। বাথরুম মানেই যে কোনও একটা আলো, এমনটা নয় কিন্তু। জোরালো আলোর পাশে, মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখুন।

ফ্যান- বাথরুমে জানলা থাকলেও তা হাট করে খোলার উপায় নেই। ফলে বাথরুমের ভেতরের বাতাস বাইরের বের করতেই অবশ্যই এক্সজস্ট ফ্যান লাগান। আর লাগান সাধারণ ফ্যানও। ঘরে পাখার দরকার হয়, কিন্তু বাথরুমে কি দরকার! কিন্তু সেই ভাবনার বদল এসেছে।

আয়না-

ভাল, বড় আয়না ছাড়া স্নানঘর অসম্পূর্ণ। গোল, চৌকো, ওভাল-সহ নানা ধরনের আয়না পাওয়া যায়। আপনার বাথরুমের জায়গা বুঝে তেমন কোনও একটা বেছে নিন। আর নিয়মিত সেই আয়না পরিষ্কার রাখুন।

ক্যাবিনেট-

বাথরুমে কিন্তু স্নানে ব্যবহার করার পাশাপাশি প্রচুর জরুরি জিনিস থাকে। যেমন বাথরুম পরিষ্কারের কেমিক্যাল থেকে ব্রাশ, ফিনাইল।তাই যদি নতুন বাথরুম তৈরি করেন বেসিন রাখার পাশাপাশি ক্যাবিনেট রাখুন। যেখানে তোয়ালে, সাবান, শ্যাম্পু থেকে সব জিনিস গুছিয়ে রাখতে পারবেন।বাথরুম ছোট হলে স্টোরেজ-সহ আয়না কিনুন।

যদি বাথরুমে ক্যাবিনেটের জায়গা না থেকে তাহলে জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়াল হ্যাঙ্গিং ট্রে পাওয়া যায়। সেগুলো লাগাতে পারেন।

গিজার-অনেকে মনে করেন গরমের জায়গায় থাকলে গিজারের দরকার নেই। কিন্তু সারা বছরই নানা কাজে গরম জল লাগে।তাই সেটাও লাগান। আর ইষদুষ্ণ জলে স্নান করলে শরীর ঝরঝরে লাগে। ক্লান্তি কমে।

সবুজের ছোঁয়া- বাথরুমে ইন্ডোর প্ল্যান্ট রাখুন। ছোট ছোট টবে গাছ রাখলে, বাথরুমে একটা ফ্রেশ ফিল আসবে। রাখুন অ্যালোভেরা গাছ। একটি কাচের বাটিতে জল রেখে তারমধ্যে নানারকম ফুল ভাসিয়ে দিন।

বাথটাব ও শাওয়ার-

এখন বাজার চলতি বিভিন্ন রকমের বাথটাব পাওয়া যায়। তাই বাথরুম যদি বড় হয়, মাপমতো বাথটাব কিনে নিন। তারসঙ্গে অবশ্যই রাখবেন মিক্সিং কল। যাতে গিজারের গরম জল, এমন পাইপ লাইনের ঠান্ডা জল দুটোই মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে। সঙ্গে রাখুন হ্যান্ড শাওয়ার। স্নানের সময় গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন।

বাথটাবের জায়গা না থাকলেও অবশ্যই ভাল শাওয়ার রাখুন। আর ব্যবস্থা রাখুন স্পিকারের। যাতে স্নানের সময় ইচ্ছেমতো মিউজিকটাও শুনতে পারেন।

আর অবশ্যই বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।বাথরুমের জন্য বাজারচলতি ইচ্ছেমতো সুগন্ধি ব্যবহার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − 3 =