নারায়ণপুরে বার ডান্সারের রহস্য মৃত্যু

নারায়ণপুরের জগারডাঙায় এক বার ডান্সারের রহস্য মৃত্যু। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম শ্বেতা রানি। বছর তিরিশের শ্বেতার বাড়ি পঞ্জাবের জলন্ধরে। দিল্লির এক যুবক মহেশ জয়সওয়ালের সঙ্গে তিন বছর ধরে নারায়ণপুরের জগারডাঙ্গা এলাকার একটি আবাসনে ভাড়া থাকতেন বলেই প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। কাজ করতেন একটি বারে। এদিকে জয়সওয়াল পুলিশকে জানান, শনিবার রাতে তিনি ফ্ল্যাটে ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এরপর একাধিকবার তিনি শ্বেতাকে ডাকাডাকিও করেন। এরপরও শ্বেতা ফ্ল্যাটের দরজা খোলেননি। শেষমেশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে ওই যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দ্রুত তাঁকে ভি আই পি রোডের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা পরবর্তীতে শ্বেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।

সূত্রে আরও খবর, শ্বেতা রানি ডিভোর্সি ছিলেন। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পরেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় মহেশের। এরপরই দীর্ঘদিন লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকা। এই সম্পর্কে নতুন করে কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছিল কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এদিকে শ্বেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, পেশায় বার ডান্সার স্বেতা বিয়ে ভাঙার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। আর সেই কারণেই এই মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার পথ শ্বেতা বেছে নেন কি না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করেনি বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, মহেশকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তাঁদের সম্পর্কে কোনও চিড় ধরেছিল কিনা বা পরিবার সহ অন্যান্য কোনও সমস্যায় শ্বেতা জড়িয়েছিলেন কিনা, সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে তাঁর সহকর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট সামনে এলে একাধিক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি যুবতীর পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। যে আবাসনে ওই তরুণী ভাড়ায় থাকতেন সেখানে প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − six =