সিকিমে খাদে বাস পড়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু এই রাজ্যের, বাঁকুড়া জেলার এক সেনা জওয়ানের। মৃত গোপীনাথ মাকুড় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের ভালুকা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
প্রসঙ্গত,উত্তর সিকিমের চাটেন থেকে থাংগু যাওয়ার দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় জেমা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেনা জওয়ানদের একটি বাস খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ১৬ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়, আহত হন আরো ৪ সেনা জওয়ান। ওই দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই উৎকন্ঠা বাড়ছিল গোপীনাথ মাকুড়ের ভালুকা গ্রামের বাড়িতে। দিনভর ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করারও চেষ্টা করেও বিফল হয় পরিবারের লোকজন। অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় সেনার তরফে ফোন করে গোপীনাথ মাকুড়ের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর জানানো হয় তাঁর পরিবারকে। শনিবার, বিকাল সাড়ে ৪ টা নাগাদ সেনার বিশেষ হেলিকপ্টারে করে সিকিম থেকে পানাগড়ে এসে পৌঁছয় তাঁর দেহ। সেখানে পানাগড়ের মানুষ এবং বিজেপি কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। রাতে সেনা হাসপাতালে রাখা থাকবে মরদেহ, রবিবার সকালে শবদেহ নিয়ে তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন সেনা জওয়ানরা।উল্লেখ্য, গোপীনাথ মাকুড়ের পরিবারে তাঁর স্ত্রী, ১১ বছরের একমাত্র ছেলে ছাড়াও রয়েছেন তাঁর মা-বাবা, ভাই ও ভাতৃবধূ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন গোপীনাথ মাকুড়। গত বছরই স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গোপীনাথ। কিন্তু করোনার কারণে সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা পিছিয়ে যায়। চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই শেষ দু’মাসের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন বছর ৩৯ এর গোপীনাথ মাকুড়। ইচ্ছে ছিল আগামী বছরের মার্চ মাসেই অবসর গ্রহণ করে বাড়ি ফিরবেন। অবসরের পর বাঁকুড়ায় বসবাস করার জন্য বাড়িও তৈরি করছিলেন গোপীনাথ। সেই বাড়ির কাজও শেষের দিকে। যদিও বাড়ি ফেরা আর হল না। তার আগেই গোপীনাথ এর মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছল ভালুকা গ্রামের বাড়িতে। খবর লেখা পর্যন্ত ছেলের নিথর দেহ বাড়ি ফেরার অধীর অপেক্ষায় শোকগ্রস্ত পরিবার ও গ্রামবাসী।