এবার আর মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানানো নয়। আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ফের চিঠি পাঠালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম অন্যায়ভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে। আদতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচ করেই রাজ্য সরকার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প চালাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, আবাস যোজনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে অনেক আগেই। কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের টাকা যোগ্য ব্যক্তিদের দেওয়া হচ্ছে কি না বা তাঁদের হাতে আদৌ পৌঁছাচ্ছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিরোধী শিবির থেকে। এরপরই শুক্রবার কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে এই চিঠি পাঠান শুভেন্দু। এর আগে গত বছরের নভেম্বরেও এই সংক্রান্ত অভিযোগ তিনি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রকে।
এদিকে সূত্রে খবর, এদিন যে চিঠি কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে পাঠান বিরোধী দলনেতা সেই চিঠির সঙ্গে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের একটি লোগোও পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, নাম বদলে প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। এমনকী আবাস যোজনার টাকায় যে সব বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে, সেই সব বাড়ির সামনে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের নাম সাঁটিয়ে দিয়ে আসা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান শুভেন্দু। এই চিঠিতে শুভেন্দু এ অভিযোগও করেন, রাজ্যের পুর দফতর এই কাজ করছে। আর এর ফলে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকেরা। পাশাপাশি শুভেন্দু কেন্দ্রের কাছে এ আর্জিও জানান, গ্রাহকদের এই বিভ্রান্তি কাটাতে যাতে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করে। কারণ, সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না, কারণ, তাঁদের আশঙ্কা এদিক ওদিক হলে তাঁদের বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হবে না।
প্রসঙ্গত, আবাস যোজনা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি এ রাজ্যে। যাঁদের প্রকৃত অর্থে আর্থিক অবস্থা খারাপ, তাঁরা যোজনার টাকা না পেয়ে অন্যরা পাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর কেন্দ্রী থেকে একটি দল এসে এই বিষয়টি খতিয়েও দেখে। এমনকী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছিলেন, বাংলায় যাঁরা আবাস যোজনার টাকা পেয়েছেন তাঁদের অনেকের প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে। নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেই টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।