ফের বন্যার কবলে বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেশের বহু অংশ জলমগ্ন। সিলেট, সুনামগঞ্জ-সহ বহু এলাকা জলের তলায়। তাই তড়িঘড়ি বাতিল করে দেওয়া হল বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
আগামী রবিবার, ১৯ জুন থেকে মাধ্যমিক, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থীর এই সব পরীক্ষায় বসার কথা। কিন্তু বন্যার কারণে আপাতত তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সম্প্রতি ভারতের মেঘালয়-অসমে প্রবল বৃষ্টির কারণে প্রচুর জল ঢুকেছে বাংলাদেশের এই এলাকায়। তাতেই চলতি মরশুমে তৃতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেট অঞ্চলে। অন্যান্য অফিস-সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও জলের তলায়। দুর্ঘটনা এড়াতে বহু এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই সব এলাকা মিলিয়ে প্রায় ৬৬ হাজার পরীক্ষার্থীর এই সব পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। কিন্তু তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে পারতেন না। তাই তাঁদের এবং তাঁদের অভিভাবকদের তরফে দাবি উঠেছিল, পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার। সেই আবেদনের কারণে শিক্ষা দফতরের তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পিছিয়ে দেওয়া হল পরীক্ষা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষার দিন ঘোষণা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শিক্ষা দপ্তরের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে জানান, দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাই শিক্ষা দপ্তরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই সব পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখা হবে।