দিল্লির বঙ্গভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিল রাজ্য পুলিশ। সূত্রে খবর, সোমবার এই দায়িত্বভার গ্রহণ করা হয় রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে। আর এই রাজ্য পুলিশের মধ্যেও মহিলা পুলিশের সংখ্যা বেশি রাখা হয়েছে রাজ্যের এই অতিথিশালায়। বেশিরভাগ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য। সূত্রের খবর, আপাতত একমাস থাকবে এই বাহিনী। তারপর রাজ্য পুলিশেরই অন্য বাহিনী আসবে। কারণ, গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে দিল্লির চাণক্যপুরীর বঙ্গভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মীদের রীতিমতো ধমকায় পুলিশ।এমনকি সেখানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা এবং হার্ডডিস্ক নিয়ে গিয়েছে গুজরাত ট এবং দিল্লি পুলিশের যৌথ বাহিনী।ফলে বঙ্গভবন থেকে সাকেতকে গ্রেপ্তারির সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ মেলেনি বলেই অভিযোগ। একইসঙ্গে তৃণমূলের তরফ থেকে এও দাবি করা হয়, নিরাপত্তাকর্মীদের ধমকে, কার্যত বলপ্রয়োগ করে সাকেতকে গ্রেপ্তারের এই প্রমাণ পুলিশ রাখতে চায়নি। এদিকে দিল্লির রাজ্য সরকারি অতিথিশালা বঙ্গভবন থেকে তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলের এই গ্রেপ্তারি নিয়ে আপত্তি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। পাশাপাশি এ অভিযোগও তোলেন, তৃণমূল মুখপাত্রকে গ্রেপ্তারের পর দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত পুলিশ বঙ্গভবনে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে চলে যায়। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও মনে করিয়ে দেন, বঙ্গভবন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্পত্তি। অনুমতি ছাড়া কেউ সেখানে গেলে রাজ্য সরকারকেও ব্যবস্থা নেবে। অনুমতি ছাড়াই দিল্লি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গুজরাত পুলিশ বঙ্গভবনে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে। বঙ্গভবনে অনেক সময় তিনি ছাড়াও রাজ্যপাল, হাইকোর্টের বিচারপতিরা থাকেন বলেও ওই সভা থেকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই রাজ্য পুলিশকে বঙ্গভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে হেইলি রোড এবং চাণক্যপুরীর বঙ্গভবনে পুলিশকর্মীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন রেসিডেন্স কমিশনার আর ডি মিনা, অ্যাডিশনাল রেসিডেন্স কমিশনার শাশ্বত দাঁ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নীলাদ্রি সমাদ্দার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাকেতকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বঙ্গভবনে হানা দেওয়া নিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে গুজরাত পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রাজ্য সরকার। এদিকে এই ঘটনার সব দায় গুজরাত পুলিশের ওপর চাপিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী গুজরাত পুলিশকে সাহায্য করা হয়েছে মাত্র। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ বা অন্যান্য কোনও ব্যাপারে দিল্লি পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই। এ বিষয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত রেসিডেন্ট কমিশনারের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য সরকার।