বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের পর ব়্যাগিং বিতর্ক আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে

যাদবপুর কাণ্ডে তদন্তে নেমে এবার আর আহমেদ  ডেন্টাল কলেজ নিয়ে সামনে এল এক বিস্ফোরক তথ্য। ফলে তদন্তকারীদের আতস কাঁচের তলায় হস্টেল সুপার।  এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের হস্টেলের সুপারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি চিকিৎসক ঝন্টু মণ্ডল এই অভিযোগ সামনে আনেন। সঙ্গে এ প্রশ্নও উঠেছে, গত ৯ বছর আগে যাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, তিনি কীভাবে হস্টেলের সুপার হলেন, তা নিয়েও।

এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ঝন্টু মণ্ডল নিজে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের পড়ুয়া ছিলেন। সূত্রে খবর মিলছে, একসময় ওই কলেজের হস্টেলে থাকাকালীন র‌্যাগিং-এর শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। সেটা ২০১৪ সালের ঘটনা। সেই সময় কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন নদিয়ার বাসিন্দা ঝন্টু মণ্ডল। তখন তিনি ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আর সেই অভিযোগপত্রে তৎকালীন কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে নাম ছিল শুভজিৎ সাহার। এর মাঝে পেরিয়ে গেছে প্রায় ৯ বছর। কালের চাকায় বর্তমানে দুজনেই চিকিৎসক। ডেন্টাল কলেজের সুপারের পদে রয়েছেন ডা. শুভজিৎ সাহা। ঝণ্টু মণ্ডলের দাবি, তিনি ডিএসও ছাত্র সংগঠনের সদস্য ছিলেন। সেই সময় তাঁকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁকে নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ জানান তিনি। এই অভিযোগ সামনে আসতেই ডিএসও-র তরফ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বিষয়টি যাতে বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হয়  সেই আর্জিও জানানো হয়েছে বাম সংগঠন ডিএসও-র তরফ থেকে।

এই প্রসঙ্গে হস্টেল সুপার শুভজিৎ সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন তিনি। আর যিনি অভিযোগ জানাচ্ছেন সেই ঝণ্টু মণ্ডল ছিলেন ডিএসও-র সদস্য। অভিযোগ প্রসঙ্গে শুভজিৎ সাহা বলেন, ‘ আদতে এটা একটা ভুয়ো কেস। ওরা কোর্টেও কেস করেছিল। সেখান থেকেও ক্লিনচিট পেয়েছি। অ্যান্টি কমিটি থেকেও ছাড়পত্র পেয়েছি। এতদিন পর এই অভিযোগ সামনে আনার যে কোনও যুক্তি নেই, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − twenty =