কলকাতা: শুরু হয়েছে বুধবার থেকে। বুধ, বহস্পতি ও শুক্র। তিন দিন কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হল নগদ। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গড়িয়াহাটে গাড়ি থেকে কোটা টাকা উদ্ধার হওয়ার পর এ বার বড়বাজারের একটি সংস্থার অফিস থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। এই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাচারের চেষ্টা চলছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
শুক্রবার কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং গুন্ডাদমন শাখা যৌথ ভাবে বড়বাজার এলাকার কটন স্ট্রিট এবং বাবুলাল বাজাজ স্ট্রিট এলাকায় তল্লাশি চালায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বেসরকারি সংস্থাটির অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেই তল্লাশিতেই মেলে এই বিপুল পরিমাণ টাকা। ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটে থাকা ওই বিপুল অঙ্কের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই টাকা কী কারণে সেখানে ছিল, তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।এর আগে বালিগঞ্জে একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গড়িয়াহাট এলাকায় একটি গাড়ির ভিতর থেকেও প্রায় কোটির কাছাকাছি টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তারপরই বড়বাজার থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।
অবশ্য টাকা উদ্ধার শুরু হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু হতেই উদ্ধার হয়েছিল রাশি রাশি টাকা। সেই টাকার অঙ্ক ছিল প্রায় ৫০ কোটি।সম্প্রতি কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে ইডি বালিগঞ্জে একটি বেসরকারি সংস্থায় তল্লাশি চালায়। বুধবার সেখান থেকেই মেলে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গড়িয়াহাটে গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১ কোটি টাকা। এবার টাকা উদ্ধার বড়বাজারে। যদিও টাকার অঙ্ক তুলনায় কম।