শুক্রবার সন্ধেয় বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর রাত থেকেই শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ। অবশেষে শনিবার দুপুরের দিকে তা শেষ হল বলেই জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালেই ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এরপর এদিন দুপুরে তিনি জানান, ‘ উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। এখন থেকে এলাকাটিকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের সকলকে এই এলাকা খালি করতে হবে এবং যে মেশিনগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে তা থেকে দূরে থাকতে হবে।’
এদিকে এই দুর্ঘটনার পর থেকেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা হল তা নিয়ে। প্রশ্নের মুখে রেল পরিষেবা বা সতর্কতার খামতির ঘটনাও তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় বারবার উঠে এসেছে এই প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার কারণ কী? এই প্রশ্নের শিকড় পর্যন্ত আমরা পৌঁছনোর চেষ্টা করব। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ করা হবে।’
গত ২০ বছরের মধ্যে এই দুর্ঘটনা সবথেকে ভয়াবহ, এমনটাই ধারনা অধিকাংশের।কারণ, একইসঙ্গে তিনটি ট্রেনের দুর্ঘটনায় পড়ার সংখ্যা বিরল থেকে বিরলতম বললে অত্যুক্তি হবে না। রেলের তরফে পাওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩৮ জনের এবং আহত হয়েছেন ৬০০ জন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর তিনি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন এবং কটক হাসপাতালে যাবেন এই দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে।ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও। তিনি উদ্ধারকার্য খতিয়ে দেখেন।যান হাসপাতালেও। আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এই দুর্ঘটনার পর শুক্রবারই রেলের তরফে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে দশ লাখের আর্থিক সাহায্য করা হবে, গুরুতর আহতদের দুই লাখ এবং জখমদের ৫০ হাজারের আর্থিক সাহায্য করা হবে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মৃতদের পরিবারের জন্য আলাদা করে দুই লাখের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। এদিকে এদিনের এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ, কী কারণে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করাও হয়েছে রেলের তরফ থেকে।