মাথা ফেটে অঝোরে রক্ত। কোনওক্রমে টেপ বেঁধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। যদিও হেরে যান কোয়ার্টার ফাইনালে। চোট, হার সত্ত্বেও বেলগ্রেড বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে পদক জিতেই দেশে ফিরছেন তারকা কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া। গড়ে ফেলেছেন ইতিহাস। বিশ্ব কুস্তিতে চারটি পদক জেতা প্রথম ভারতীয় কুস্তিগীর তিনি। ২০১৩ সালে ব্রোঞ্জ, ২০১৮ সালে রূপোর পদকের পর ২০১৯ সালে ফের ব্রোঞ্জ পান। চলতি বছরে বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপের এই সংস্করণের ৬৫ কেজি বিভাগে পুয়ের্তো রিকোর সেবাস্টিয়ান রিবেরাকে ১১-৯ ব্যবধানে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদকের পাশে নিজের নাম লেখান।
বেশ কয়েকবছর ধরে বজরং পুনিয়ার লাগাতার ভালো পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে। টোকিয়ো অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ, কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছিলেন। একইসঙ্গে এবারের বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে দেশকে দ্বিতীয় পদক এনে দিলেন বজরং। তিনি ছাড়াও মহিলা কুস্তিগীর বিনেশ ফোগট ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন।
বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথমদিকের লড়াইয়ে পিছনে পড়ে গিয়েছিলেন বজরং। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে বাউট হেরে যান। অবশেষে রেপচেজের মাধ্যমে পদক জেতার সুযোগ আসে বজরংয়ের সামনে। পুরোদমে তার ফায়দা তুললেন তারকা কুস্তিগীর। রেপচেজের প্রথম ম্যাচে আর্মেনিয়ার কুস্তিগীর বেজগেন তোবান্য়ানের দারুণ মোকাবিলা করে হারিয়ে দেন। চোটের তোয়াক্কা না করেই লড়ে গিয়েছেন। যদিও এর প্রভাব বাউট চলাকালীন দেখা গিয়েছে। ব্রোঞ্জ মেডেলের প্লেঅফ ম্যাচে একসময় ০-৬ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন বজরং। সেখান থেকে প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১১-৯ ব্যবধানে বাউট জিতে যান।
বজরং ছাড়া বিশ্ব কুস্তিতে গ্রেকো রোমান, ফ্রিস্টাইল এবং মেয়েদের বিভাগে মোট ৩০ জন ভারত থেকে অংশ নিয়েছিলেন। তার মধ্যে মাত্র দু’জন পদক নিয়ে ফিরছেন। বজরং এবং বিনেশ ছাড়া সাগর জগলান, নবীন মালিক এবং নিশা দাহিয়া ব্রোঞ্জ পদক জয়ের দাবিদার ছিলেন। যদিও সাফল্য পাননি। অলিম্পিক ও কমনওয়েলথ গেমস মেডেলিস্ট রবি দাহিয়া টুর্নামেন্টের প্রথমেই ছিটকে যান। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে হারেন তিনি।